স্পোটর্ ডেস্ক::চলতি বিপিএলে ১১ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে সিলেট স্ট্রাইকার্স। আসরে তাদের বাকি আর মাত্র ১টি ম্যাচ। জিতলে আরো ২ পয়েন্ট যোগ হবে। অন্যদিকে ১০ ম্যাচে সমান ১৪ পয়েন্ট সংগ্রহ ফরচুন বরিশাল, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ও রংপুর রাইডার্সের। তিন দলেরই সুযোগ রয়েছে শীর্ষস্থান দখল করার। তবে এর মধ্যে সাকিব আল হাসানের ফরচুন বরিশাল নিজেদেরকে মাঠের লড়াইয়ে এগিয়ে রাখছে। বিশেষ করে দলের দেশি ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্সে খুব খুশি দলের সহকারী কোচ মিজানুর রহমান বাবুল। যেখানে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের প্রধান কোচ দেশি ক্রিকেটারদের সাধারণ ক্রিকেট-বোধ ও মস্তিষ্ক নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন সেখানে বাবুল বলেছেন ভিন্ন কথা। নিজ দলের দেশি ক্রিকেটারদের নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশি পারফর্মাররা দারুণ করছে। বিশেষ করে সাকিব তো আউটস্ট্যান্ডিং খেলছে খালেদ ভালো বোলিং করেছে, ইবাদতও শেষ ম্যাচে ভালো বোলিং করেছে, আমরা অপ্রত্যাশিতভাবে মিরাজকে মিস করছি, ও ইনজুরির কারণে খেলতে পারছে না। কামরুল রাব্বি যতগুলো ম্যাচ খেলেছে খুবই ভালো বোলিং করেছে। শেষ ম্যাচে ফজলে রাব্বি ভালো শুরু করেছে, বিজয় ভালো করছে। আমি বলবো যে দেশিরা মোটামুটি আমাদের দলে ভালো করছে। বিশেষ করে আমি বলবো বিজয়ের এ টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ স্কোরার হওয়ার ভালো সুযোগ ছিল। যদি সে ফুলটা ফিনিশ করতে পারত।’ শুধু তাই নয়, বিশ্বের অন্যান্য ক্রিকেট লীগের তুলনায় বিপিএলে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা প্রভাব ফেলছে বলেই বিশ্বাস করেন ফরচুন বরিশালের সহকারি কোচ বাবুল। তিনি বলেন, ‘অবশ্যই আমি যদি অন্যান্য লীগের সঙ্গে আমাদের বিপিএলের তুলনা করি, আমাদের দেশি খেলোয়াড়রা ডমিনেট করছে। বিশেষ করে সিলেট দলটা যদি খেয়াল করি, দেখবেন যে উপরের দিকে যে তিনজন ব্যাটার আছে এবং রানের টেবিলে তারাই উপরে আছে। সো ওভাবে হতাশার কথা ব্যক্ত করে তো লাভ নেই, আমাদের ছেলেরা ভালো করছে। কুমিল্লা দলের স্পিনার তানভীর ভালো বোলিং করছে, মেহেদী ভালো করছে। সো দেশি অন্য বিপিএলের সঙ্গে এটা তুলনা করলে আমাদের ছেলেরা আউটস্ট্যান্ডিং খেলছে।’

বিশেষ করে তরুণ তৌহিদ হৃদয়, জাকিরসহ নাজমুল হোসেন শান্তদের এই বিপিএলে দারুণভাবে এগিয়ে রাখছেন বাবুল। তিনি বলেন, ‘আমরা যখন স্কিল ক্যাম্প করি, ছেলেদের স্কিল উন্নতির চেষ্টা করি। ওখানে ও (তৌহিদ হৃদয়) খুব ভালো ক্রিকেট খেলছিল। ওর একটা পজেটিভ দিক হচ্ছে, ও পজেটিভ ক্রিকেট খেলতে পছন্দ করে। ও খুব সাহসী এবং মেধাবী ছেলে। আমি বলবো আমাদের অবশ্যই ফিউচার খেলোয়াড়, সো এ টাইপের কিছু খেলোয়াড় আমাদের খুবই দরকার, পাশাপাশি জাকির। শান্ত তো অনেকদিন ধরে জাতীয় দলের সঙ্গে আছেই। হৃদয়-জাকির এ বিপিএলে আমাদের অনেক বড় পাওয়া, ভালো করছে।’

দেশি ক্রিকেটার পারফরম্যান্সকে দারুণ ইতিবাচক মনে করছেন এই অভিজ্ঞ কোচ। তিনি বলেন, ‘এটা গুড সাইন। আমরা যদি একটা খেলোয়াড়ের উপর নির্ভরশীল হয়ে যাই, বা যেকোনো দল যদি একটা দুটা খেলোয়াড়ের উপর নির্ভর থাকে, তখন দেখা যায় যে ওরা যদি ওদিন পারফর্ম না করে টিম বিপদে পড়ে যায়। আমাদের টিমে দেখা যাচ্ছে যে একদিন এ একদিন ও, ইফতেখার, সাকিব, মিরাজ, সবাই মিলেমিশে পারফর্ম করছে। সে কারণে হয়তো আমরা আজকে লিড করছি। আমি এটাকে ইতিবাচক দেখছি। টিমের যখন বন্ডিং ভালো থাকে, টিম ভালো করে। এটা খুবই ভালো যে সবাই ম্যাচসেরার জন্য খেলে, নিজে ভালো করার জন্য খেলে ফাইট করছে এটা গুড সাইন।’

আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন দেশি ক্রিকেটারদের মস্তিষ্ক ও বোধ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। কোচ সালাউদ্দিন বলেন, ‘লোকাল খেলোয়াড়দের কাছে আমি একটা সামান্য কমনসেন্স (সাধারণ জ্ঞান) চাই, যে একটা কমনসেন্স থাকে। তাদের আসলে কমনসেন্স আছে কি না এটা নিয়ে আমার সন্দেহ। আপনি যদি ১৫ বছর ধরে ঘরোয়া ক্রিকেট মিরপুরে খেলেন, আপনি জানেন যে আপনার আসলে কী করতে হবে। সে কমনসেন্স যদি আপনার না থাকে তাহলে আসলে আমি হতাশ। বিশেষ করে আমাদের ছেলেরা ক্রিকেট নিয়ে চিন্তা করে কিনা সেটা নিয়ে আমার সন্দেহ।’প্রথম থেকে।
ডায়ালসিলেট এম/

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *