শ্রীমঙ্গল সিন্দুর খাঁন কুঞ্জবন এলাকার শতাধিক কৃষকের মুখে হাসি ফোটিছেন রিপন রায়

প্রকাশিত: ৯:১৮ অপরাহ্ণ, মার্চ ১৮, ২০২৩

শ্রীমঙ্গল সিন্দুর খাঁন কুঞ্জবন এলাকার শতাধিক কৃষকের মুখে হাসি ফোটিছেন রিপন রায়

মনজু বিজয় চৌধুরী॥  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশবাসীর প্রতি আহ্বান এক ইঞ্চি জমিও যেন অনাবাদি না থাকে; এই নির্দেশনা পালনে করছেনশ্রীমঙ্গল সিন্দুর খাঁন কুঞ্জবন এলাকার শতাধিক কৃষকের মুখে হাসি ফোটিছেন এলাকার রিপন রায়। শ্রীমঙ্গল সিন্দুর খাঁন কুঞ্জবন নিজ গ্রামে কৃষকদেরে পানি সেচ দিয়ে অনাবাদি জমি চাষে করেছেন রিপন রায়।অনাবাদি শক্ত জমিতে নিজ অর্থ ব্যয়ে সেচের মাধ্যমে করে দিয়েছেন চাষের যোগ্য। কৃষি অফিসের কোন সহযোগীতা ছাড়াই কৃষকের ঘরে উঠবে সোনালী ফসল। প্রায় ৩ শতাধিক বিঘা জমিতে সবুজের সমারোহ। মনের আনন্দে কৃষক কৃষাণীরা ফসলের মাঠে কাজ করে যাচ্ছে। তাদের শরীরে নেই কোন ক্লান্তি। সিন্দুরখাঁন ইউনিয়নের ২ বারের নির্বাচিত মেম্বার ও ২ বারের প্যানেল চেয়ারম্যান রিপন রায়। পেশায় একজন পল্লী চিকিৎসক, একি সাথে নিজের ও দেশের খাদ্য চাহিদা পুরন করতে ঝাপিয়ে পড়ছেন কৃষি কাজে। এলাকার কৃষকদেরে পানি সেচ দিয়ে অনাবাদি জমি চাষে করেছেন আগ্রহী। সিন্দুরখাঁন ইউনিয়নের কুঞ্জবনে ১২ শত বিঘা জমি এক ফসলী ক্ষেত করছিল কৃষকরা। চলিত বছর রিপন রায় কয়েক লাখ টাকা নিজ অর্থ ব্যয়ে লেঙ্গা ছড়ায় মেশিন বসিয়ে দেড় হাজার ফুট পাইপ টেনে পানি সেচ দেওয়ার ব্যবস্থা করে দেন কৃষকদেরে। যার ফলে প্রায় ৩ শত বিঘা জমি কৃষি চাষে আওতায় আসে। কুঞ্জবন এলাকার কৃষক আইয়ুব আলী(৩০), মশাইদ মিয়া, কুতুব মিয়া, মাসুক মিয়া, শিপন মিয়া, সুজন মিয়া, শহীদ মিয়া, আনোয়ার মিয়া, আব্দুল আলী, বশির মিয়া, মারুফ মিয়া, আফতাব মিয়া, ছত্তার মিয়া, আহাদ মিয়া, ছত্তার মিয়া, আলাল মিয়া, লোকমান মিয়া, সয়াল মিয়া, ছালেক মিয়া, ফয়জুর রহমান, আছকর মিয়া, সুজন মিয়াসহ শতাধিক কৃষক প্রায় ৩ শত বিঘা অনাবদী জমি চাষ করেছেন। কৃষকরা জানান, প্রতি বিঘা জমি চাষ করতে তাদের খরচ পড়েছে ৪ হাজার টাকা। বিঘা প্রতি ১৮ মন ধান ফলবে বলে তারা আশাবাদী। গত ২১ বছর পুর্বে একবার লেংঙ্গা ছড়ায় বাঁধ দিয়ে ১২০০ বিঘা জমিতে  ফসল ফলেছিল। বর্তমানে ফিনল্যা ছড়া চা বাগান উজানে বাঁধ দিয়ে পানি আটকে ফেলে। যার করনে লেঙ্গা ছড়ায় পানির প্রবাহ থাকে না। লেঙ্গা ছড়ার পানি ব্যাবহার করা গেলে ২ হাজার বিঘা জমিতে মৌসুমি ফসল সহ ধান চাষ সম্ভব। তারা কোন সময়ই সরকারি অনুদান বা সহযোগীতা পাচ্ছেন না। তারা জানেন না কৃষি কাজে সরকারি ভর্তুকি বা কৃষি কার্ড কি। কৃষি অফিসের সহযোগীতা ও পানি সরবরাহ পেলে ধান, গম, ভূট্রা, মৌসুমি ফসলে মাট ভরে উঠতে পারে। এই জমি গুলো উচু হওয়ায় পাহাড়ি ঢল বা বন্যায় নষ্ট হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই। শুধু ফসল কেটে নিয়ে আসতে রাস্তা না থাকায় তারা আছেন বিপাকে। ক্ষেতের মধ্য দিয়ে ১৭ ফুট প্রস্থ কামারতলা গোপাট নামে একটি গোপাট ছিল। যে গোপাট দিয়ে কৃষকরা ধান কেটে নিয়ে আসতো। আর এর পাড় দিয়ে গ্রামের মানুষ চলাচল করতো। এই গোপাটের আজ আর অস্তিত নেই। কৃষকরা ধান উঠাতে এখন বিপাকে পড়েছেন।  মৌলভীবাজার কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সামছুদ্দিন আহমদ বলেন, মৌলভীবাজার জেলায় ৫৬৫৫০ হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। আবাদ হয়েছে ৫৭৯৯৮ হেক্টর। শ্রীমঙ্গল কুঞ্জবন এলাকায় এধরনের উদ্দ্যোগের বিষয় তিনি অবগত নন। শ্রীমঙ্গল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে খোঁজ খবর নিয়ে ব্যবস্থা নিতে বলবেন।

0Shares