প্রকাশিত: ১২:২৭ পূর্বাহ্ণ, মে ২৩, ২০২৩
মনজু বিজয় চৌধুরী॥ রাজনগর উপজেলার ৪ নং পাঁচগাও ইউনিয়নের কেওলা গ্রামের বাসিন্ধা ভাইস চেয়ারম্যান আলাল মিয়া ও তার পরিবার জমির সংক্রান্ত বিরোদের জের ধরে নিরাপত্তাহীনতার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এব্যাপারে রাজনগর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন ভাইস চেয়ারম্যান আলাল মিয়ার স্ত্রী রেহনা বেগম। অভিযোগে জানাযায়, আলাল মিয়া একজন হার্টের রোগী। বর্তমানে ঢাকা হার্ড ফান্ডেশনে চিকিৎসাধীন আছেন। এলাকার আসুক মিয়া একজন পেশাদার সুদখোর। সে নিজ এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকার নিরীহ লোকজনদেরকে সুদে টাকা দিয়ে পরে চড়া সুদে টাকা আদায় করে। এ ভাবে অনেক লোকজনকে সর্বস্ত করেছে। সে এলাকায় সুদের রাজা নামে পরিচিত। তাছাড়া গেদন মিয়া ও উজ্জ্বল মিয়া উভয় এলাকার ত্রাস প্রকৃতির লোক। গেদন মিয়ার বিরুদ্ধে অস্ত্র, মাদক মামলাসহ একাধিক মামলা মোকদ্দমা রয়েছে। উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আলাল মিয়ার সাথে জমি সংক্রান্ত মনোমালিন্য চলছিল। বর্তমানে ভাইস চেয়ারম্যান ঢাকা হার্ড ফান্ডেশনে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় আসুক মিয়া, গেদন মিয়া ও উজ্জল মিয়া বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মোবাইল নাম্বার হইতে মোবাইল নাম্বারে ফোন করে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন করে। আসুক মিয়া ২১ মে উজ্জ্বল মিয়ার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন নং-০১৭১৫-২৮১৮০০ নাম্বার হইতে ভাইস চেয়ারম্যান আলাল মিয়ার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন নং-০১৩২৬-৩০৭৫০৬ নাম্বারে ফোনে হুমকি দিয়ে বলে তাকে আরো সুদের টাকা দিতে হবে। তা না হলে তাহার চেকের পাতায় জাল স্বাক্ষর করে অথবা ভূয়া ডকুমেন্ট দিয়ে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করবে। উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানের ছোট ভাইর স্ত্রী জেরিন আক্তার বলেন, আমার ভাসুর দু’টি পুকুর লিজ দিয়েছিলেন ঘরগাঁও গ্রামের মিনত আলী নামে এক ব্যাক্তিকে। মিনত আলী পুকুরে মাছের পোনা ছাড়তে এলে তারা বাঁধা দেয়। আমার ভাসুরকে ফোনে বলে মাছ চাষ করতে হলে তাদেরে টাকা দিতে হবে। এছাড়াও ঢাকা হার্ড ফান্ডেশনে চিকিৎসাধীন আমার ভাসুর চিকিৎসার টাকার জন্য জমি বিক্রি করতে তারা বাঁধা দিচ্ছেন। আমার ভাসুর তাদের জামাতা হওয়ার কারনে তিনি মুখ বুজে সহ্য করে যাচ্ছেন। তাদের একি কথা ফিসারি করতে হলে তাদেরকে চাঁদা দিতে হবে। যার কারনে তিনি চিকিৎসার আর্থিক সংকটে আছেন। স্ত্রী রেহানা বেগম বলেন, আমার স্বামী তাদের ভয়ে এলাকা ছাড়া। এমন কি আমরা পরিবারের লোকজনও তাদের ভয়ে আতংকিত আছি। বর্তমানে এলাকার মানুষ তাদের ভয়ে মুখ খোলতে সাহস পাচ্ছেনা। এব্যাপারে গেদন মিয়া ও উজ্বল মিয়া বলেন, ভাইস চেয়ারম্যন আলাল মিয়া আমাদের ভাতিজির জামাই। আমরা তাকে এলাকায় আসতে বাঁধা দেবো কেন। গেদন মিয়ার দাবি আকলের বাজারের পার্শ্বে একটি ৪৫ শতক জমিতে ফিসারী আছে। এ ফিসারিতে আমার সাড়ে সাত শতক জমি আছে। এছাড়া বাড়ি সামনে আরেকটি ফিসারি আছে। এখানে আরো সাড়ে সাত শতক জমি আমার নামে আছে। এই জমির দাবি আমি করেছি।
Address: Kaniz Plaza, Zindabazar, Sylhet
United Kingdom, London Mobile :+447438548379
dialsylhetnews@gmail.com
Design and developed by AshrafTech