ডায়াল সিলেট ডেস্ক :   মৌলভীবাজারের জুড়ীর কলেজ ছাত্র তামভীর হাসান রুহান (১৮) শনিবার (২৭ মে) সকাল থেকে নিখোঁজ রয়েছে বলে তার বাবা চিকন মিয়া থানায় সাধারণ ডায়রী (নং ১১৪৮, তারিখ- ২৭.৫.২৩) করেন। তবে এ নিয়ে এলাকাবাসী ভিন্ন কথা বলছেন। তাদের ধারণা রুহান নিখোঁজ নয়, সে তার বাবার অতিশাসনে গৃহত্যাগ করেছে।
উপজেলার জায়ফরনগর ইউনিয়নের জায়ফরনগর গ্রামের বাসিন্দা চিকন মিয়া’র দুই মেয়ে ও তিন ছেলের মধ্যে তামভীর হাসান রুহান চতুর্থ। সে জুড়ী তৈয়বুন্নেছা খানম সরকারি কলেজ থেকে চলতি বছরের এইচ.এস.সি পরীক্ষার্থী।

চিকন মিয়া জানান, রুহান প্রতিদিন গ্রামের মসজিদে ফজরের নামাজ পড়তে যায়। নামাজ শেষে অন্যান্যদের সাথে প্রাতভ্রমণ করে সকাল ৭/৮ টায় বাড়ি আসতো। কিন্তু শনিবার (২৭ মে) এ সময়ের মধ্যে সে বাড়ি ফিরে নি। আমরা তার মোবাইলে ফোন দিলে দুইটি মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। পরে সম্ভাব্য সকল স্থানে খোঁজ করে না পেয়ে থানায় জিডি করি। রুহান ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়তো, কারো সাথে তার কোন বিরোধ নেই।

তিনি বলেন, সোমবার সৌদি আরব থেকে সাকিব নামে একজন আমাকে +৯৬৬৫৩১০০৮২৩৯ নম্বর থেকে ফোন করে বলে রুহান তাদের হাতে আছে। এমনকি একজন মানুষের পিঠে নির্যাতনের চিহ্ন সম্বলিত ছবি পাঠিয়ে টাকা চায়। বিষয়টি আমি থানাকে অবগত করেছি।

এদিকে রুহানের নিখোঁজ হওয়াকে কেন্দ্র করে স্থানীয় জনমনে সন্দেহ দেখা দিয়েছে। সবার মুখে মুখে ফিরছে ‘রুহান স্বেচ্ছায় বাড়ি ছেড়ে চলে গেছে।’ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসী ও রুহানের সাথে সম্পর্কিতরা জানান- রুহান জামাতের সহিত ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়তো। সব সময় হাসিখুশী থাকতো। কোন খারাপ প্রকৃতির কারো সাথে মিশতো না। সহপাঠী বন্ধুদের সাথে ঘুরাফেরা করতো। বন্ধুদের সাথে ঘুরাঘুরি তার বাবা সহ্য করতেন না। এ জন্য তাকে বকাঝকা করতেন। এতে সে অতিষ্ঠ হয়ে পড়ে ছিল। বাবার অতিশাসনে সে সব সময় তটস্থ থাকতো। যে কারণে সে অনন্যোপায় হয়ে বাড়ি ছেড়ে চলে গেছে। সম্প্রতি কিছু দিন থেকে রুহান বিভিন্ন জায়গায় চাকরির খোঁজ করছিল। যাবার সময় এক ব্যাগে তার ব্যবহৃত অনেক কাপড়, দুইটি মোবাইল ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে যায়।

তবে রুহানের বাবা তা অস্বীকার করে বলেন, আমি মাঝে মধ্যে তাকে শাসন করতাম যাতে বাহিরে অযথা ঘুরাফেরা না করে। সে যাবার সময় একটি প্যান্ট ও একটি লুঙ্গি নিয়ে গেছে। কেহ রুহানের খোঁজ পেলে তাকে ফিরিয়ে আনার অনুরোধ করেন তিনি।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *