ডায়াল সিলেট ডেস্ক :  তীব্র তাপদাহে পুড়ছে সারাদেশ। বৃষ্টির জন্য দেশজুড়ে চলছে হাহাকার। এতে হাঁপিয়ে উঠেছে জনজীবন। গত কয়েকদিন সারাদেশের মতো মৌলভীবাজারেও প্রখর রৌদ্রতাপের ফলে বয়ে যাচ্ছিলো অসহনীয় গরম। গরম থেকে রক্ষা পেতে মানুষের প্রার্থনা ছিলো বৃষ্টির।এমন পরিস্থিতি অনাবৃষ্টি ও তীব্র দাবদাহ থেকে পরিত্রাণ চেয়ে বৃষ্টির প্রত্যাশায় বিশেষ নামাজ আদায় করেছেন মৌলভীবাজারের শতাধিক মুসল্লিরা।মৌলভীবাজারে দীর্ঘ তীব্র তাপদাহের পর অবশেষে স্বস্তির বৃষ্টি হলো। জেলার বিভিন্ন উপজেলায় গুড়িগুড়ি বৃষ্টির খবর পাওয়া গেছে। রাতে পুরো জেলায় বৃষ্টির আশা করছে আবহাওয়া অধিদফতর।বৃহস্পতিবার (৮ জুন) দুপুর থেকে মৌলভীবাজার জেলা সদরে গুড়িগুড়ি বৃষ্টির শুরু হয়। এতে স্বস্তি ফিরে জনমনে।এর আগে বৃহস্পতিবার (৮ জুন) সকাল ৯ টার দিকে মৌলভীবাজার পৌর শহরের শান্তিবাগ জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে সালাতুল ইস্তিস্কা আদায় করে বিশেষ নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে।নামাজ শেষে অনাবৃষ্টি থেকে মুক্তির জন্য বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করেন শান্তিবাগ জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মো. হাবিবুর রহমান। নামাজের ইমামতি করেন মাওলানা মোজ্জামেল হক মাহেরী।জেলায় গত কয়েকদিন ধরে চলছিলো টানা বৈশাখী দাবদাহ। এমনিতে এ সময় স্বাভাবিক বৃষ্টির জলধারায় সিক্ত হওয়ার কথা প্রকৃতির। কিন্তু তা না হয়ে তীব্র দাবদাহে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলো জেলার জনজীবন।অবশেষে শেষ দুপুরে মৌলভীবাজারে দেখা মিলেছে এক পশলা স্বস্তির বৃষ্টির।জানা যায়, গরম ও বিদ্যুৎ বিভ্রাটে জনজীবন হয়ে পড়েছিলো অতিষ্ঠ। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধরা গরমে কষ্ট পাচ্ছিলেন সবচেয়ে বেশি। তবে বৃষ্টি হাওয়ার কারণে তাপমাত্রা কিছুটা ঠান্ডা হওয়ায় জনজীবনে স্বস্তি ফিরেছে। শহরের বাসা-বাড়ির ছাদে অনেককেই বৃষ্টিতে ইচ্ছে করে ভিজতে দেখা গেছে। শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের আবহাওয়া সহকারী মো. আনিসুর রহমান জানান, সিলেটে আমরা আগে থেকেই বৃষ্টির আভাস দিয়েছিলাম। গত কয়েকদিন থেকে ৩৮ থেকে ৩৯ ডিগ্রি তাপমাত্রা ছিল। তবে অনুভূত হয়েছে ৪৫ থেকে ৪৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বৃষ্টি হলে তা কমে আসবে।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *