প্রকাশিত: ২:৩০ পূর্বাহ্ণ, জুন ২০, ২০২৩
আন্তর্জাতিক ডেস্ক :: গ্রিস উপকূলে নৌকাডুবির ঘটনায় অন্তত ৩০০ পাকিস্তানির মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় সোমবার (১৯ জুন) জাতীয় শোক ঘোষণা করেছে পাকিস্তান। পাশাপাশি ইউরোপের সবচেয়ে ভয়াবহ অভিবাসী নৌকাডুবির ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ১০ মানবপাচারকারীকে গ্রেফতার করেছে দেশটির আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষ জানায়, পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীর থেকে ৯ মানব পাচারকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রিস উপকূলে নৌকাডুবিতে নিহত ব্যক্তিদের অধিকাংশের বাড়ি সেখানে। এছাড়া পাঞ্জাবের গুজরাট শহর থেকে মানব পাচারে জড়িত সন্দেহে আরেকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পাকিস্তানি সিনেটের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ সাদিক সানজরানি রোববার এক বিবৃতিতে এ ঘটনায় প্রাণ হারানো ব্যক্তিদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান। একই দিনে এক টুইট বার্তায় এ ঘটনায় উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ। টুইটে তিনি লেখেন, আমি জাতিকে আশ্বস্ত করছি যে, যারা এ ঘটনার তদন্তে অবহেলা করবে তাদের বিচার করা হবে।
গত বুধবার (১৪ জুন) গ্রিস উপকূলে কয়েকশ অভিবাসনপ্রত্যাশীকে নিয়ে ডুবে যায় একটি নৌকা। জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ও আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার যৌথ এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নৌকাটিতে ৪০০ থেকে ৭৫০ জন অভিবাসী ছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
প্রতিবছর হাজার হাজার পাকিস্তানিসহ বিভিন্ন গরিব দেশের বহু মানুষ উন্নত জীবনের আশায় ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে যাওয়ার চেষ্টা করেন। ঝুঁকিপূর্ণ ও অবৈধ এই সাগরপথের যাত্রায় প্রায়ই নৌযানডুবির ঘটে। এতে বহু মানুষের মৃত্যু হয়।
বুধবারের ওই দূর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা কয়েকশতে পৌঁছাতে পারে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ডুবে যাওয়া মাছ ধরার নৌকাটি অতিরিক্ত যাত্রীতে বোঝাই ছিল। সেটি দক্ষিণ গ্রীসের পাইলোস শহর থেকে ৮০ কিলোমিটার দূরে ডুবে যায়।
গ্রিস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দুর্ঘটনার পর ১০৪ জনকে জীবিত ও ৭৮ জনের মরদেহ সৈকতে আনা হয়। পাঁচ দিন পারে হয়ে যাওয়ায় জীবিত মানুষ খুঁজে পাওয়ার আশা ক্রমেই ম্লান হয়ে আসছে। নৌযানটির বেশিরভাগ যাত্রী ছিলেন মিশর, সিরিয়া ও পাকিস্তানের।
-সূত্র: সিএনএন
Address: Kaniz Plaza, Zindabazar, Sylhet
United Kingdom, London Mobile :+447438548379
dialsylhetnews@gmail.com
Design and developed by AshrafTech