টাঙ্গুয়ার হাওরের পর্যটকবাহী হাউজবোট ডুবি

প্রকাশিত: ৩:১৫ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ২৭, ২০২৩

টাঙ্গুয়ার হাওরের পর্যটকবাহী হাউজবোট ডুবি

তাহিরপুর প্রতিনিধি :: টাংগুয়ার হাওরে বেড়াতে আসা পর্যটকবাহী দুই হাউজবোটের সংঘর্ষে স্বপ্ন নামের একটি হাউজবোট পানিতে তলিয়ে গেছে। এসময় বোটে থাকা ২০ জন পর্যটককে স্থানীয় বাসিন্দারা দ্রুত নিরাপদ স্থানে নিয়ে আসায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

 

সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায় শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রাম সংলগ্ন পাটলাই নদীতে বুধবার সকাল সাড়ে ১১টায় ঘটনাটি ঘটে।

 

সচেতন মহল বলছেন, অসতর্ক থাকা, সরকারি নিয়মনীতি অনুসরণ না করা, প্রশাসনের নজরদারি না থাকা ও অদক্ষ চালক দিয়ে নৌযান চালানোর কারণেই দুর্ঘটনা ঘটছে। আজ হয়ত বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পাওয়া গেছে। প্রশাসনের উচিত পর্যটকবাহী হাউজবোড ও নৌযানগুলোকে নিয়ন্ত্রণ ও নজরদারির মধ্যে রাখা।

 

আবুল কালাম, জসিম উদ্দিনসহ স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আমরা নদীর পাড়ে বসা ছিলাম। সকাল সাড়ে ১১টায় তাহিরপুর উপজেলা থেকে ছেড়ে আসা স্বপ্ন পর্যটকবাহী হাউজবোটটি ২০ জন পর্যটক নিয়ে পাটলাই নদী দিয়ে টেকেরঘাটের দিকে অগ্রসর হচ্ছিল। অপরদিকে টেকেরঘাট এলাকা থেকে তাহিরপুরের দিকে যাওয়ার উদ্দেশ্যে জলযাত্রা হাউজবোট ৬-৭ জন পর্যটক নিয়ে যাচ্ছিল। এই দুটি হাউজবোট টাগুয়ার হাওরপাড়ের ইসলামপুর গ্রামের পাশে পাটলাই নদী দিয়ে আসামাত্রই পর্যটকবাহী স্বপ্ন ও জলযাত্রা হাউজবোট দু’টির মুখমুখি সংর্ঘষে হয়। এসময় স্বপ্ন নামের পর্যটকবাহী হাউজবোটের তলা ফেটে পানিতে তলিয়ে যায়। তাৎক্ষণিক স্থানীয়রা এসে ডুবে যাওয়া হাউজবোটে থাকা পর্যটকদের উদ্ধার করে নৌকাটি নদীর পাড়ে আনতে সক্ষম হয়। এই ঘটনার দুটি হাউজবোট কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।

 

তবে ডুবে যাওয়া পর্যটক ও তাদের মালামাল উদ্ধারকারী হাবিবুর রহমান, সেনারুল মিয়াসহ অনেকেই জানান, আমরাসহ এলাকাবাসী সবাই মিলে ডুবে যাওয়া হাউজবোট থেকে পর্যটক ও তাদের মালামাল উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে আনি। কেউ কোনো আঘাতপ্রাপ্ত হননি। পর্যটকরা এখন নিরাপদে তাদের গন্তব্যে চলে গেছেন।

 

হাওর নিয়ে কাজ করেন আহমেদ কবির। তিনি জানান, হাওরে আগত পর্যটক পরিবহনকারী হাউজবোট বলেন আর নৌকা বলেন, সবাইকেই সর্তকতা অবলম্বন করে চলাচল করা উচিত। নিয়মনীতি অনুসরণ না করে চলাচলের ফলেই দুর্ঘটনায় শিকার হচ্ছে নৌযানগুলো। এই সব পর্যটকবাহী হাউজবোড ও নৌযানের বিষয়ে প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত।

 

তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ ইফতেখার হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, শুনেছি দুটি নৌকার সংঘর্ষে একটি নৌকা ডুবে গেলেও কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

 

উল্লেখ, ডুবে যাওয়া স্বপ্ন হাউজবোটে কিছুদিন আগে গোপন ক্যামেরা পাওয়া গিয়েছিল। এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা ঝড় উঠেছিল পর্যটকসহ স্থানীয় এলাকাবাসীর মধ্যে। এছাড়াও সম্প্রতি সুনামগঞ্জের সাহেববাড়ি ঘাটে আগুনে পুড়ে ভস্মিভূত হয় জঙ্গা নামর একটি হাউজবোট।

 

0Shares

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ