বিএনপি নেতা জি কে গউছের জামিন নামঞ্জুর

প্রকাশিত: ৫:২৫ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১০, ২০২৩

বিএনপি নেতা জি কে গউছের জামিন নামঞ্জুর

কারাগারে প্রেরণ

ডায়াল সিলেট ডেস্ক :: কেন্দ্রীয় বিএনপির সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ও হবিগঞ্জ পৌরসভার সাবেক পদত্যাগকারী মেয়র জি কে গউছের রিমান্ড এবং জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। রবিবার দুপুরে হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার আইও (ওসি তদন্ত) বদিউজ্জামান।

 

অপরদিকে, জি কে গউছের আইনজীবী তার পক্ষে জামিন আবেদন করেন। আদালত উভয়পক্ষের শুনানি শেষে রিমান্ড এবং জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন আসামীপক্ষের আইনজীবী আফজাল হোসেন। এর পূর্বে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে সকাল সাড়ে ৯টায় জি কে গউছকে আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় দলীয় নেতাকর্মীসহ হাজার হাজার মানুষ আদালত প্রাঙ্গণে ভিড় জমান।

 

জানা গেছে, ২০১৫ সালে সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া হত্যা মামলায় হবিগঞ্জ কারাগারে থাকা অবস্থায় সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত ও হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মো. আবু জাহিরকে হত্যার ষড়যন্ত্র করেছিলেন জি কে গউছ। ওই মামলায় তাকে রবিবার আদালতে তোলা হলে আদালত রিমান্ড এবং জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন।

 

গত ২৯ আগস্ট সন্ধ্যা ৭টার দিকে হাইকোর্ট এলাকা থেকে ডিবি পুলিশ জি কে গউছকে আটক করে। ৩০ আগস্ট ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে ঢাকা সিএমএম কোর্টে হাজির করা হয়। একই সাথে ২০১৫ সালের ১৮ জুলাই পবিত্র ঈদের দিন হবিগঞ্জ কারাগারে বন্দি থাকা অবস্থায় জি কে গউছকে ছুরিকাঘাতের ঘটনায় দায়েরকৃত একটি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন ডিবির কোতয়ালী জোনাল টিমের উপ পরিদর্শক আফতাবুল ইসলাম। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশিদের আদালত ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড শেষে গত ২ সেপ্টেম্বর একই আদালতে হাজির করে আবারও ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। কিন্তু আদালত রিমান্ড নামঞ্জুর করে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেন। গত ৪ সেপ্টেম্বর জি কে গউছকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে হবিগঞ্জ কারাগারে নিয়ে আসা হয়।

 

হবিগঞ্জ নিয়ে আসার পর গত ৫ সেপ্টেম্বর সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত ও হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মো. আবু জাহিরকে হত্যার ষড়যন্ত্র মামলায় গ্রেপ্তার দেখাতে আদালতে আবেদন করেন মামলার আইও (ওসি তদন্ত) বদিউজ্জামান। শুনানি শেষে আদালত জি কে গউছকে এই মামলায় শ্যোন এরেস্ট দেখাতে আদেশ দেন।

 

0Shares