প্রকাশিত: ১১:৪৭ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৩
গত কয়েক দিন ঢাকার বাইরে ডেঙ্গু সংক্রমণ বেড়েছে। অনেকে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীকে ঢাকায় নিয়ে আসছেন। এতে ওই রোগীর মৃত্যু ঝুঁকি বাড়ছে। সে জন্য অযথা কাউকে ঢাকায় না পাঠানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর।
আজ রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে আহমেদুল কবীর বলেন, এত দিন ঢাকায় আক্রান্তের সংখ্যা বেশি ছিল। কিন্তু এখন ঢাকার বাইরে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। ডেঙ্গু চিকিৎসার বিষয়ে সারা দেশের চিকিৎসা সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে বারবার বৈঠক হয়েছে। ডেঙ্গু চিকিৎসার ক্ষেত্রে যে গাইডলাইন সেটা প্রান্তিক পর্যায়ের চিকিৎসকেরাও জানেন। সেই গাইডলাইন অনুসরণ করে চিকিৎসা দিতে বলা হয়েছে এবং অপ্রয়োজনে কোনো রোগীকে ঢাকায় না পাঠানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘ডেঙ্গুর মূল চিকিৎসাটা হচ্ছে রোগীর ফ্লুইড ম্যানেজমেন্ট। রোগীর প্রেশার কমে গেলে যথাযথ সময়ে আইভি ফ্লুইড দিতে হয়। এর জন্য বড় ধরনের হাসপাতালের প্রয়োজন নেই। বরং প্রান্তিক পর্যায়ে যে রোগী শকে আছেন, তাঁর শক স্টেজ ম্যানেজ না করে যদি ঢাকায় পাঠানো হয় তাহলে এই লম্বা সময়ে আমরা রোগীটিকে নিশ্চিতভাবে হারাব। সুতরাং যত খারাপ অবস্থাই হোক রোগী যেখানে আছেন সেখানে যদি চিকিৎসা নেওয়া হয় তবে এই বিপর্যয়টা হবে না। উপজেলা–জেলা পর্যায়ে যে যেখানে আছেন সেখানেই চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাই আমাদের রোগীরা যেন আস্থার সঙ্গে সেখানে চিকিৎসা নেন— এটাই হচ্ছে আমাদের মূল বার্তা।’
আহমেদুল কবীর আরও বলেন, ‘আমরা গত বছর যেসব প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স নেই, মেয়াদোত্তীর্ণ এবং অনিয়ম করছে তাদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করেছিলাম। ডেঙ্গু পরিস্থিতিতে ফের বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের তথ্য পাচ্ছি। যারা এসব অনিয়মের সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আমরা আবারও ব্যবস্থা নেব। কাল সোমবার থেকে এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ফের অভিযানে নামবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রান্তিক পর্যায় পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। একযোগে সারা দেশে এ অভিযান পরিচালিত হবে।’
ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা প্রসঙ্গে আহমেদুল কবীর বলেন, ডেঙ্গু আক্রান্ত সব রোগীর জন্য নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (আইসিইউ) প্রয়োজন হয় না। তারপরও কিছু ক্লিনিক যাদের আইসিইউ সুবিধা নেই, তবু রোগীদের সঙ্গে প্রতারণা করে তারা আইসিইউতে রাখে। এসব বিষয়ে অধিদপ্তর নজর রাখছে। তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ডেঙ্গু রোগীদের জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন আইভি ফ্লুইড দেওয়া উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘কিছু অসাধু ব্যবসায়ী এই সময়ে এসে সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করছে। আমরা সিভিল সার্জনদের নির্দেশনা দিয়েছি কেউ যদি স্যালাইনের দাম বেশি রাখে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমাদের স্যালাইনের সংকট হয়নি। বাংলাদেশে মজুত থাকলেও সংকট দেখা দেয়। আর্টিফিশিয়াল যারা সংকট তৈরি করতে চায়, তারা যেন সেটি করতে না পারে সে জন্য ব্যবস্থা হিসেবে আমরা বিদেশ থেকে আমদানির সিদ্ধান্ত নেই। আমরা এ পর্যন্ত ৩ লাখ স্যালাইন আমদানি করেছি।’
Editor & Publisher : - Sohel Ahmed
764 great west road,isleworth, London. UK Mobile : +447438548379
Address: 4th floor, Kaniz Plaza, Zindabazar, Sylhet 3100
Design and developed by AshrafTech