প্রকাশিত: ৯:০৬ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৩
ডায়াল সিলেট ডেস্ক :: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের রামপাশা গ্রামের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত ধলাই নদীর ভাঙনে দীর্ঘদিন থেকে ঝুঁকিতে আছেন নদী পাড়ের পরিবারগুলো। প্রতি বছরের বর্ষায় মৌসুমী ভাঙনের ফলে ভিটামাটি হারিয়ে অনেক পরিবার নিঃস্ব হয়েছে। বর্তমানেও এ গ্রামের বেশ কয়েকটি পরিবার ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। এদিকে এ নদীর ১৪ কিলোমিটার এলাকায় ব্লক নির্মাণের প্রস্তাবনা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে।
এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে ও সরেজমিনে জানা গেছে, ব্লক দ্বারা বাঁধ নির্মাণ তাদের দীর্ঘদিনের দাবি। কিন্তু এখনও তাদের এ দাবি পূরণ হয়নি। বছর বছর নদী থেকে ২০-৩০ ফুট সরিয়ে বাঁধ দেওয়া হয়। আবার তা ভেঙে বসত বাড়ির সঙ্গে লেগে যায়। ফলে বসতবাড়ি ও সহায় সম্পদ হারাতে হয় অনেক গ্রামবাসীর। বর্তমানে নিখিল চন্দ্র মালাকারের বাড়ি ভায়া রফিক বখতের বাড়ি পর্যন্ত অংশটুকু বেশি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।
স্থানীয়দের দাবি, রামপাশা গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া নদী ধলাই নদীর ভাঙনে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে সাধারণ মানুষের। এটি রোধে স্থায়ী কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। ফলে মানুষের বাড়ি-ঘর, ভিটেমাটি নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
নদী ভাঙনে এ গ্রামের বাসিন্দা মো. আব্দুর রব, আবদুর রাজ্জাক চৌধুরী, আবদুর রহিম মিয়া, প্রানেশ পাল, বিক্রম পাল, হারিছ মিয়া, এম,এ, ওয়াহিদ রুলু, মো. তুফা মিয়া, সুনীল মালাকার, নিখিল চন্দ্র মালাকার, যোগীন্দ্র মালাকার, মনিন্দ্র মালাকার, জয়ধন মালাকার, নারদ দেবনাথ, নিধু দেবনাথ, সরোজিনী রানী দেবী, জমির উদ্দিন, করিম মিয়া, হক আলী, রফিক বক্ত, খুশি শব্দকর, অনিল শব্দকর অনেকের বসতবাড়ি ও ভূ-সম্পত্তি হারিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। বর্তমানে নদী পার দিয়ে পৌরসভা কর্তৃক পানির পাইপ লাইন স্থাপন করা হয়েছে। নদীর পার ভাঙলে পানির পাইপ লাইনও ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
ধলাই নদী পারের বাসিন্দা নিখিল মালাকার বলেন, এ পর্যন্ত ৭-৮ বার নদীর পাশ থেকে সরিয়ে ঘর নির্মাণ করে বসবাস করছি। বর্তমানে আর সরানোর জায়গা নেই। আমার বসতবাড়ী রক্ষায় স্থায়ী ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি আকুল আবেদন জানাই।
মনির মিয়া বলেন, একদম নদীর পার ঘেঁষে আমার বসত ঘর। ভেঙে নিলে আর যাওয়ার জায়গা নেই। সুশীল দেবনাথ বলেন, ভিটা বাড়ি অনেক আগেই হারিয়েছি। বর্তমানে যেখানে আছি তাও অন্যের জায়গা, এটা ভেঙে নিলে আর যাওয়ার জায়গা নেই।
মিন্টু মালাকার বলেন, আমি শৈশব থেকে দেখছি নদী ভাঙছে আর আমার পরিবারও বসতবাড়ী সরিয়ে বসবাস করার চেষ্টা করছে। এখন আর সরানোর জায়গা নেই। রফিক বক্ত বলেন, আমারও অনেক জমি নদী ভাঙনে হারিয়েছি।
পানি উন্নয়ন বোর্ড, মৌলভীবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জাবেদ ইকবালের কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ধলাই নদীর ১৪ কিলোমিটার এলাকায় ব্লক নির্মাণের জন্য একটি প্রস্তাবনা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে রামপাশা এলাকাও অন্তর্ভূক্ত আছে। প্রস্তাবটি অনুমোদন হলে টেন্ডার আহ্বান করে কাজ শুরু হবে।
Address: Kaniz Plaza, Zindabazar, Sylhet
United Kingdom, London Mobile :+447438548379
dialsylhetnews@gmail.com
Design and developed by AshrafTech