প্রকাশিত: ৮:১১ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২, ২০২৩
ডায়াল সিলেট ডেস্ক: ঈদে মিলাদুন্নবী ও সরকারি টানা ছুটিতে পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছিল মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ ও শ্রীমঙ্গল উপজেলার বিভিন্ন পর্যটন স্পটগুলো।
বৃহস্পতিবার থেকে মাধবপুর লেক ও লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে দেখা মেলে দূর-দূরান্ত থেকে আসা ভ্রমণ পিয়াসুদের। এদের মধ্যে পরিবার নিয়ে ঘুরতে আসা পর্যটকদের উপস্থিতি ছিল উল্লেখযোগ্য। এবারের ছুটিতে লোকজনের উপস্থিতি ছিল অন্যান্য বছরের তুলনায় বেশি।
পা ফেলার জায়গা ছিল না টিলাঘেরা সবুজ চা বাগান, লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান, বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী হামিদুর রহমানের স্মৃতিসৌধ, নয়নাভিরাম মাধবপুর লেক, হামহাম জলপ্রপাত, মাগুরছড়া খাসিয়া পুঞ্জি, ডবলছড়া খাসিয়া পুঞ্জিসহ বিভিন্ন পর্যটন স্পটগুলোতে।
কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের টিকেট কালেক্টর শাহিন আহমদ বলেন, শুক্রবার পর্যটকের উপচেপড়া ভিড় ছিল। সামাল দিতে আমাদের হিমসিম খেতে হচ্ছে। আগে কখনো একসঙ্গে এত পর্যটক আসেননি। ২৯ সেপ্টেম্বর মোট পর্যটক এসেছেন এক হাজার ৩২৩ জন। তাদের মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক এক হাজার ১১২ জন, ছাত্র ১৯০ জন, বিদেশি ২১ জন। শুধু শুক্রবার কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান থেকে সরকারের রাজস্ব আদায় হয়েছে ৭১ হাজার ৮০০ টাকা।
অন্যদিকে পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সঞ্জয় চক্রবর্তীর নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম সকাল থেকে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত প্রতিটি জায়গায় টহল দিতে দেখা যায়।
লাউয়াছড়ায় জাতীয় উদ্যানে ঘুরতে ঢাকা থেকে আসা পর্যটক মামুন হাসান আহমদ জাগো নিউজকে বলেন, কমলগঞ্জের লাউয়াছড়ার বন একটি সমৃদ্ধ বন। প্রাকৃতিক অপরূপ সৌন্দর্য আর জীববৈচিত্র্যে ভরপুর এই বনটি দেখলে সবার মন জুড়িয়ে যাবে।
বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী হামিদুর রহমানের স্মৃতিসৌধ, মাধবপুর লেকে ও লাউয়াছড়া ঘুরতে যাওয়া সিলেট মহিলা কলেজের ছাত্রী আয়েশা সিদ্দিকা বললে, ‘এখানে এসে খুবই ভালো লাগছে। আব্বু আম্মুর সঙ্গে ঘুরতে এসেছি। বানরের লাফালাফি দেখেছি। তাছাড়া হামিদুর রহমানের স্মৃতিসৌধ যাদুঘর ও লেকের পানি কি বলবো সব মিলিয়ে অসাধারণ লাগছে। মন চাচ্ছে না যেতে। যে কোনো ছুটি পেলে আবার আসবো।
লাউয়াছড়া ইকো টুরিস্ট গাইড অ্যাসোসিয়েশনের সহ সাধারণ সম্পাদক মো. আহাদ মিয়া বলেন, সরকারি ছুটিতে লাউয়াছড়াসহ সব পর্যটনকেন্দ্রে প্রচুর পর্যটকের আগমন হয়। পর্যটকের সংখ্যা চোখে পড়ার মতো ছিল। শনিবারে আরও পর্যটক বাড়তে পারে।
বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের লাউয়াছড়া রেঞ্জ কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম জানান, অন্যান্য সময়ের তুলনায় পর্যটকের সমাগম অনেক বেশি। তবে লাউয়াছড়ায় পর্যটকদের উপস্থিতি সব সময়েই বেশি হয়ে থাকে।
কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সঞ্জয় চক্রবর্তী বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই টিম নিয়ে কমলগঞ্জের সব পর্যটন এলাকা ঘুরে দেখছি। পর্যটকদের নিরাপত্তার স্বার্থে আমরা পর্যবেক্ষণ করছি।
শ্রীমঙ্গলের ওয়াটারলিলি রিসোর্টের মালিক ওয়ালিদ আহসান নাহিদ বলেন, কয়েকদিন থেকে আমার হোটেলে কোনো রুম খালি নেই। পর্যটকরা শ্রীমঙ্গলে ঘুরতে আসছেন এটা আমাদের জন্য আনন্দের। তবে আমরা তাদের পর্যাপ্ত রুম দিতে পারছি না এটা একটু খারাপ লাগছে।
ট্যুরিস্ট পুলিশ শ্রীমঙ্গল জোনের ইনচার্জ প্রদীপ কুমার চক্রবর্তী বলেন, পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তার জন্য আমরা সবসময় নিয়োজিত আছি। পর্যটকরা যেন স্বাচ্ছন্দ্যে ভ্রমণ করতে পারেন সেজন্য আমরা কাজ করছি।
Address: Kaniz Plaza, Zindabazar, Sylhet
United Kingdom, London Mobile :+447438548379
dialsylhetnews@gmail.com
Design and developed by AshrafTech