শ্রীমঙ্গলে শিল্প মেলা নিয়ে অসন্তোষ: স্থানীয় ব্যবসায়ীরা আশংকা

প্রকাশিত: ৬:১৪ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২, ২০২৩

শ্রীমঙ্গলে শিল্প মেলা নিয়ে অসন্তোষ: স্থানীয় ব্যবসায়ীরা আশংকা

মনজু বিজয় চৌধুরী॥ শ্রীমঙ্গলে চলা শিল্প মেলা নিয়ে ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষের মাঝে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা আশংকা করেছেন-অসময়ে এই মেলা আসন্ন দূর্গাপুজায় তাদের কেনা-বেচায় প্রভাব পড়তে পারে।
জানা গেছে, ‘হস্ত কুটির শিল্প’ মেলা নামে শহরের ভানুগাছ সড়কের পাশে রেলওয়ে মাঠে মাসব্যাপী এই মেলা শুরু হলেও রোববার ১ অক্টোবর মেলা ঘুরে ‘হস্ত ও কুঠির শিল্পের উল্লেখযোগ্য কোন পণ্য দেখা মেলেনি।
মেলায় ঘুরতে আসা অনেকে বলেছেন মেলায় যেসব পণ্য প্রদর্শন করা হচ্ছে তার মান খুবই নিম্নমানের আবার দাম নেয়া হচ্ছে বেশী।
এদিকে আসন্ন দূর্গা পুজাকে সামনে রেখে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা এই অসময়ের বানিজ্য মেলা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
ব্যবসায়ীদের ভাষ্য, মেলা আর ১টা মাস পরে হলেও সমস্যা ছিলো না, কিন্তু সেপ্টেম্বরের শেষে এই মেলার আয়োজনে তারা বড় ধরণের ক্ষতির মুখে পড়বেন।
ব্যবসয়ীরা বলেছেন, করোনার পর থেকে এমনিতেই ব্যবসা-বানিজ্য মন্দা যাচ্ছে। বছরে ২টি ঈদ ও দূর্গাপুজাকে কেন্দ্র করে তারা লাভের আশায় থাকেন। এছাড়া সাধারণত শীতকালে বা বছরের ডিসেম্বর-মাচের মাঝে বিভিন্ন মেলা বসে।
বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে শুরুহওয়া মেলায় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে অর্ধ শতাধিক স্টল আসা অংশ নিচ্ছে। ইতোমধ্যে স্টলগুলো তাদের পণ্যের পশরা সাজিয়ে কেনা বেচা শুরু করে দিয়েছে।
এদিকে, মেলার শুরুতেই কসমেটিক্সসহ নানা ধরণের পণ্যে অতিরিক্ত দামসহ নিম্ন মানের পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কয়েকজন ক্রেতা।
রেজিয়া সুলতানা নামে মেলায় আসা এক তরুণী জানান, মেলার পণ্যগুলো খুবই নিম্ন মানের। একই কথা জানান রুনা জান্নাত নামে অপর এক দর্শনার্থী।তিনি বলেন, মেলা থেকে আমরা ইচ্ছে করে কসমেটিকসহ নানা পণ্য কিনে থাকি। কিন্তু তার গুণ মতো মান ভাল থাকেনা।
শ্রীমঙ্গল শহরের বস্ত্র ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন খান বলেন, এবারের মেলা নিয়ে আমরা ব্যবসায়ীরা চিন্তিত। মেলার কারনে আমাদের দোকান গুলোতে ক্রেতার সংখ্যা কমে গিয়েছে।
দূর্গাপুজাকে সামনে রেখে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে অনেক টাকা বিনিয়োগ করে মালামাল তুলেছেন। করোনার পরে অনেকে বিভিন্ন ব্যাংক ও এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে ব্যবসায়ে যোগান দিয়েছেন।
মেলায় আগত বেশ কয়েকজন দর্শনার্থী জানান, হস্ত কুটির শিল্প মেলা বলা হলেও হস্ত কুঠির শিল্পর উল্লেখ করার মতো কোন কিছুই নেই। নেই বৈচিত্র।
এ বিষয়ে মেলার আয়োজক কমিটির পরিচালক লিটনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি কথা বলতে রাজি হননি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আয়োজকদের এক কর্মকর্তা ব্যবসায়ীদের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলেছেন, কুঠির শিল্প মেলার কারণে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের তাদের ব্যবসার কোন ক্ষতির কারণ দেখছি না, পুজা আসতে আরো দেরি আছে। তাছাড়া আমরা তো পুজার উপকরণ কেনা-বেচা করছি না-এমনটি জানান তিনি।

0Shares