প্রকাশিত: ১২:৪৫ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ৫, ২০২৩
ডায়াল সিলেট ডেস্ক: রাস্তায় হাঁটতে থাকা মানুষকে অচেতন করে টাকা লুটে নেয়ার নতুন কৌশল অবলম্বন করছে ছিনতাইকারীরা। ব্যস্ত এলাকায় এভাবে ছিনতাইয়ের ঘটনা হরহামেশা ঘটছে। বেশিরভাগই এসব ঘটনার শিকার হচ্ছে নারীরা। ঘটনাগুলো এমন-একা হাঁটতে থাকা একজন লোকের সঙ্গে অপ্রত্যাশিতভাবে কথা বলতে থাকে কয়েকজন। তারা অল্প সময়েই লোকটিকে অচেতন করে লুটে নেয় টাকাসহ সাথে থাকা সবকিছু।গত এক সপ্তাহে মৌলভীবাজারের বড়লেখা, জুড়ী উপজেলা ও হবিগঞ্জ জেলা সদরে এমন বেশ কয়েকটি ঘটনার খবর পাওয়া গেছে। পুলিশ এসব ঘটনা নতুন দাবি করে বলছে- এগুলো অজ্ঞানপার্টি অথবা রুমাল পার্টির কাজ হতে পারে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় হবিগঞ্জ শহরে রকম একটি ঘটনা ঘটেছে। লায়েছ মিয়া (৪২) নামের এক সংবাদপত্র বিপণন কর্মীকে টাউন হল রোডে একা হাঁটছিলেন। এ সময় হঠাৎ কয়েকজন যুবক তার সঙ্গে অপ্রাসঙ্গিকভাবে কথা বলতে শুরু করে। পরে তিন/চার মিনিটের মধ্যে তার পকেটে থাকা ১২ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়।লায়েছ মিয়া বলেন, ‘টাকাগুলো আমার পকেট থেকে বের করে নেওয়ার সময় আমি টের পাই, দেখেছিও। কিন্তু প্রতিবাদ করতে পারছিলাম না, কথাও বলতে পারিনি। আধাঘণ্টা পরে আশপাশের মানুষকে বিষয়টি বলতে পারি। তবে ততক্ষণে লোকগুলো সেখান থেকে চলে যায়।’এছাড়া সোমবার হবিগঞ্জ শহরে আশরাফ জাহান কমপ্লেক্সের সামনে এক নারীর ভ্যানিটি ব্যাগ থেকে টাকা হাতিয়ে নেয় কয়েক যুবক। এ ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। তবে ওই নারীর পরিচয় পাওয়া যায়নি।
এর দুই সপ্তাহ আগে হবিগঞ্জ শহরের বেবীস্ট্যান্ড এলাকায় পান দোকানের সামনে থেকে এক স্কুল কর্মচারী এবং আদালত পাড়ায় আরেকজন বিচারপ্রার্থী এমন ঘটনার শিকার হয়েছেন।
অপরদিকে মৌলভীবাজার জুড়ী উপজেলার পূবালী ব্যাংক থেকে এক নারী টাকা উত্তোলন করে বের হন। এ সময় এক ব্যক্তি নিজেকে ‘ফুলতলী’র পুত্র দাবী করে টাকাগুলো ছুঁয়ে দিতে ওই নারীকে বলে। তিনিও সরল বিশ্বাসে টাকাগুলো ব্যাগ থেকে বের করে দেন। এরপর আর কিছু বলতে পারেনি ওই নারী। ততক্ষণে ওই লোকগুলো টাকা নিয়ে সেখান থেকে ছটকে পড়ে। একই ভাবে বড়লেখা উপজেলায়ও এরকম একটি ঘটনা ঘটে।
এক পুলিশ পরিদর্শক জালালাবাদকে বলেন, অপরাধীরা এমন কোনো কেমিক্যাল ব্যবহার করে থাকতে পারে যা উদ্বায়ী পদার্থ। যা শ্বাসের মাধ্যমে ভিকটিমের শরীরে প্রবেশ করানো যায়। এ প্রক্রিয়ায় ভুক্তভোগী স্টোপার বা বোকা হয়ে যান, তার জ্ঞান লোপ পায়। সবার পরিচিত ধুতরা পাতার গোটায়ও এমন উপাদান রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, সম্প্রতি এমন ঘটনা প্রায়ই ঘটছে। তবে ঘটনার শিকার ব্যক্তিদের থানায় অভিযোগ দিতে বললেও তারা অভিযোগ দেন না। এরপরও এই চক্রটিকে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।
Address: 4th floor, Kaniz Plaza, Zindabazar, Sylhet 3100
isleworth, London. UK Mobile : +447438548379
Editor & Publisher : - Sohel Ahmed
Design and developed by AshrafTech