ডায়াল সিলেট ডেস্ক: মৌলভীবাজারের বড়লেখায় গভীর রাতে তিন সহোদর প্রবাসীর বাড়ির গ্যারেজে দুর্বৃত্তের দেওয়া আগুনে প্রাইভেটকার পুড়ানোর ঘটনায় ৮ দিনেও রহস্য উদঘাটন হয়নি।

গত রোববার (১ অক্টোবর) দিবাগত রাত ২টার দিকে উপজেলার দক্ষিণ শাহবাজপুর ইউনিয়নের দেউল এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় প্রবাসীদের মা ফাতেমা বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি করে বড়লেখা থানায় একটি মামলা করেন।

এই মামলায় পুলিশ সন্দেহভাজন হিসেবে একই ইউনিয়নের পাঁচপাড়া গ্রামের নূর উদ্দিনের ছেলে প্রাইভেটকারের চালক গিয়াস উদ্দিনকে গ্রেপ্তার দেখায়। এরপর তাকে দুইদিনের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ।

গত শুক্রবার (৬ অক্টোবর) রিমান্ড শেষ হওয়ায় গিয়াস উদ্দিনকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তবে এ ঘটনায় তার কাছ থেকে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ পরিদর্শক (এসআই) জাহেদ আহমদ।

মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ শাহবাজপুর ইউনিয়নের দেউল গ্রামের ফাতেমা বেগমের তিন ছেলে প্রবাসে থাকেন। তাদের একটি প্রাইভেটকার (নম্বর, ঢাকা মেট্রো গ-১৪-৭৮৮৪) রয়েছে। প্রাইভেটকারটির চালক ছিলেন একই ইউনিয়নের পাঁচপাড়া গ্রামের নূর উদ্দিনের ছেলে গিয়াস উদ্দিন। মাসখানেক আগে তাকে গাড়ির চালক থেকে বাদ দেওয়া হয়। এরপর থেকে গাড়িটি বাড়ির গ্যারেজে রাখা ছিল। গত রোববার (১ অক্টোবর) দিবাগত রাত ২টার দিকে অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তরা গাড়ির গ্যারেজে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে প্রাইভেটকার এবং গ্যারেজ সংলগ্ন আরও একটি কক্ষ পুড়ে যায়। একপর্যায়ে বাড়ির লোকজন বিষয়টি বুঝতে পারলে চিৎকার দেন। তাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। তবে এরআগেই গাড়ি ও দুটি কক্ষ সম্পূর্ণ পুড়ে যায়। এ ঘটনায় প্রায় ১২ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। স্থানীয়ভাবে খবর পেয়ে বড়লেখা থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বড়লেখা থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) জাহেদ আহমদ মুঠোফোনে বলেন, ‘সন্দেহভাজন হিসেবে প্রাইভেটকারের চালককে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। তাকে দুই দিনের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তবে তার কাছ থেকে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। ঘটনার রহস্য উদঘাটনের জন্য তদন্ত চলমান আছে।’

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *