সালেহ আহমদ (স’লিপক): মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে উৎসবমুখর পরিবেশে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কুমারী পূজা উদযাপন করা হয়েছে।
রবিবার (২২ অক্টোবর) সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার তৃতীয় দিন মহাষ্টমী উদযাপন হয়েছে। সব ধরনের পশুত্বকে বিলীন করে নারীকে সম্মান জানানোই কুমারী পূজার মূল লক্ষ্য। কুমারী পূজার দিনে যেসব মণ্ডপে কুমারী পূজা হয় সে সব মণ্ডপে ১ থেকে ১৬ বছর বয়সী একজন কুমারীকে দুর্গারূপে সাজিয়ে পূজা করেন ভক্তরা।
এবার মৌলভীবাজারের ১ হাজার ৩৬টি পূজামণ্ডপের মধ্যে একমাত্র শ্রীমঙ্গল উপজেলার আশীদ্রোন ইউনিয়নের শ্রীশ্রী আনন্দময়ী কালীবাড়িতে উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে কুমারী পূজা। কুমারী পূজা উপলক্ষে সকাল থেকে শ্রীমঙ্গলের শ্রীশ্রী আনন্দময়ী কালীবাড়িতে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ঢল নামে।
জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে হাজার হাজার মানুষ ভিড় করেন পূজা মণ্ডপ প্রাঙ্গনে। অষ্টমী পূজা শেষে দুপুর দেড়টার দিকে শুরু হয় কুমারী পূজা। শুরুতেই অনুষ্ঠানস্থলে আনা হয় শ্রীমঙ্গল উপজেলার সাতগাঁও ইউনিয়নের বনগাঁও গ্রামের নুপুর চত্রবর্তী ও অনুরাধা চক্রবর্তীর সাত বছর বয়সী মেয়ে এবারের কুমারী দেবী তন্বী চক্রবর্তী অন্নাকে। দেবী দুর্গারূপে সজ্জিত এ কুমারী দু’হাতে পুষ্প নিয়ে আসনে বসেন মঞ্চে।
এ সময় অগ্নি, জল, বস্ত্র, পুষ্প ও বাতাস এই পাঁচ উপকরণে দেওয়া হয় ‘মালিনী রূপে’ কুমারী মায়ের পূজা। অর্ঘ্য প্রদানের পর দেবীর গলায় পরানো হয় পুষ্পমাল্য। এ সময় পুরোহিত কুমারী পূজার মন্ত্রপাঠ করেন। প্রায় ঘন্টাব্যাপী চলে পূজার আনুষ্ঠানিকতা। দুপুর আড়াইটার দিকে শেষ হয় কুমারী পূজা।
0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *