প্রকাশিত: ৫:২০ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৫, ২০২৩
ডায়াল সিলেট রিপোর্ট :: বিএনপি-জামায়াতের দ্বিতীয় দফা অবরোধের প্রথম দিনে সকাল থেকেই সিলেটের বিভিন্ন স্থানে পিকেটিং করছেন নেতাকর্মী। সিলেট-ঢাকা মহাসড়কসহ বিভিন্ন সড়কে মাথায় হেলমেট ও মুখে গামছা বেঁধে নেতাকর্মীদের পিকেটিং করতে দেখা গেছে।
রবিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সিলেট-ফেঞ্চুগঞ্জ সড়কের পারাইরচক জলকরকান্দি এলাকায় একটি খাদ্যপণ্যবাহী পিকআপ ভ্যানে আগুন দেয় বিএনপি-জামায়াত নেতাকর্মীরা। এসময় পুলিশ ধাওয়া করে এক পিকেটারকে আটক করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে পারাইরচক জলকরকান্দি এলাকায় একটি খাদ্যপণ্যবাহী পিকআপ ভ্যানে পিকেটাররা ঢিল ছুঁড়ে গতিরোধ করে। পরে পেট্রোল বোমা ছুঁড়ে গাড়িতে। এসময় গাড়ির সামনের অংশ পুড়ে যায়।
খবর পেয়ে দ্রুত দক্ষিণ সুরমা ও মোগলাবাজার থানাপুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ধাওয়া করে একজনকে আটক করে। তাৎক্ষণিকভাবে আটককৃতের নাম-ঠিকানা জানা যায়নি।
এর আগে সকাল ৭টার দিকে দক্ষিণ সুরমার লালাবাজার এলাকায় সিলেট-ঢাকা মহাসড়কে ইট ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পিকেটিং করেন নেতাকর্মীরা। উপজেলা বিএনপি ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের ১৫-২০ জন নেতাকর্মী রাস্তার পাশে রাখা মানুষের ইট নিয়ে ভেঙে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কে ছড়িয়ে দেন। এসময় তাদেরকে সরকারবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায়।
প্রায় একই সময়ে সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কের মালিপুর ও কাজলশাহ এলাকায় বিএনপি-জামায়াতের কয়েকজন নেতাকর্মী গাছ ফেলে ও শুকনো ডালে আগুন ধরিয়ে পিকেটিং করেন।
সকালে বিয়ানীবাজারে হেলমেট পরে রাস্তায় গাছের গুড়িতে আগুন দেয় বিএনপি কর্মীরা।
এছাড়া সিলেট মহানগরের খাদিমনগরে পিকেটাররা গাড়ি ভাঙচুর করতে শুরু করে। খবর পেয়ে পুলিশ এসে তাদের ধাওয়া দিলে তারা পালিয়ে যায়।
অপরদিকে, সিলেট-তামাবিল সড়কের জাফলং এলাকায়ও একটি অটোরিকশা ভাঙচুর করেন পিকেটাররা।
দ্বিতীয় দফার ৪৮ ঘণ্টার সড়ক, রেল ও নৌপথ অবরোধের প্রথম দিন রবিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত দূরপাল্লার কোনো যাত্রীবাহী বাস সিলেট ছাড়েনি। নগরেও তুলনামূলকভাবে যান চলাচল কম।
সিলেট মহানগর পুলিশের উপ কমিশনার (উত্তর) মো. আজবাহার আলী শেখ বলেন, অবরোধ চলাকালে যেকোনো ধরনের নাশকতা এড়াতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে। মহাসড়কসহ নগরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
বিক্ষিপ্ত পিকেটিংয়ে বন্ধ দূরপাল্লার বাস : বিএনপি-জামায়াতসহ বিরোধী দলগুলোর দ্বিতীয় দফার ৪৮ ঘণ্টার সড়ক, রেল ও নৌপথ অবরোধের প্রথম দিনে সকাল থেকে সিলেটে বিক্ষিপ্ত পিকেটিংয়ের খবর পাওয়া গেছে। রবিবার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত দূরপাল্লার কোনো যাত্রীবাহী বাস সিলেট ছাড়েনি। নগরেও তুলনামূলকভাবে যান চলাচল কম। এর ফলে কর্মস্থলমুখী যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নগরে কর্মচাঞ্চল্য ফিরতে শুরু করেছে। রিকশা, সিনজি অটোরিকশা চলতে শুরু করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকাল সাড়ে সাতটার দিকে দক্ষিণ সুরমা উপজেলা বিএনপি এবং জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের ১৫ থেকে ২০ জন নেতা-কর্মী ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের লালাবাজার ভরাউট এলাকায় মাথায় হেলমেট পরে ও গামছায় মুখ বেঁধে ইট আর ইটের টুকরা বিছিয়ে সড়ক অবরোধ করেন। সেখানে তারা আধঘণ্টা অবস্থান করে এরপর স্থান ত্যাগ করেন।
এদিকে সিলেট-জকিগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের মানিকপুর ও কাজলশাহ এলাকায় সকালে বিএনপি ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা গাছের শুকনা ডালে আগুন ধরিয়ে পিকেটিং করেন।
সকাল সাতটা থেকে সাড়ে সাতটা পর্যন্ত নগরের নাইওরপুল থেকে কুমারপাড়া সড়কে পিকেটিংয়ের পাশাপাশি বিক্ষোভ মিছিল করে বিএনপি ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা-কর্মীরা। এ সময় তারা ‘অবরোধ চলছে, চলবে’সহ নানা স্লোগান দেন।
সকালে নগরের শাহপরান এলাকায় পিকেটারেরা গাড়ি ভাঙচুর শুরু করেন। খবর পেয়ে পুলিশ এসে তাদের ধাওয়া দেয়। পরে অবরোধ-সমর্থকেরা পালিয়ে যান।
এ ছাড়া সকালে গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলং এলাকায়ও একটি অটোরিকশা ভাঙচুর করেন পিকেটারেরা।
নগরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা মোতায়েন আছেন।
সিলেট মহানগর পুলিশের উপকমিশনার মো. আজবাহার আলী শেখ জানান, বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি মোকাবিলায় মহাসড়কসহ সব স্থানে পুলিশের কড়া নজরদারি আছে। এখন পর্যন্ত নগরে কোথাও অপ্রীতিকর কিছু ঘটেনি।
Address: 4th floor, Kaniz Plaza, Zindabazar, Sylhet 3100
isleworth, London. UK Mobile : +447438548379
Editor & Publisher : - Sohel Ahmed
Design and developed by AshrafTech