ডায়াল সিলেট ডেস্ক :: মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের তেলিবিল গ্রামে জমি সংক্রান্ত পূর্ব বিরোধের জের ধরে রোববার দুপুরে জোরপূর্বক প্রতিপক্ষের মালিকানাধীন বাড়ির দেয়াল ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে ৭টি গাছ কেটে ফেলা এবং সীমানা প্রাচীর ভাঙ্গার চেষ্টা করে। এ সময়ে বাঁধা দিতে গেলে এক নারীকে মারধোর ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ফাতেমা বেগম বাদী হয়ে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে মৌলভীবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৫নং আমলী আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন।

অভিযোগে জানা যায়, জমি সংক্রান্ত পূর্ব বিরোধের জের ধরে শরীফপুর ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামের হিরণ খাঁনের নেতৃত্বে একই গ্রামের ফারুক মিয়া, বাবুল মিয়া, তেলিবিল গ্রামের পারভেজ মিয়া, জয়নাল আবেদীনসহ সংঘবদ্ধ দল এলকাছুর রহমানের বাড়ির বাউন্ডারি দেয়াল ভেঙ্গে বাড়িতে জোরপূর্বক প্রবেশ করে। এ সময় বাড়ির পুরুষ সদস্যরা বাড়িতে ছিলেন না। এরপর তারা বাড়ির উঠানে দু’টি কাঁঠাল গাছ, একটি পেয়ারা গাছ ও ৪টি কদম গাছ কাটতে থাকে ও পাকা বাউন্ডারি দেয়ালের একাংশ ভেঙ্গে ফেলে। এতে তাদের প্রায় লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি সাধিত হয়।

অভিযোগ করে মামলার বাদী ফাতেমা বেগম বলেন, আমার ছেলে জামাল মিয়ার স্ত্রী সুমাইয়া আক্তারকে প্রতিপক্ষরা মারধোর, টানাহেঁচড়া করে শ্লীলতাহানি ঘটায়। এ ঘটনায় ১২ জনকে আসামী করে মৌলভীবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৫নং আমলী আদালতে মামলা দায়ের করেছি।

এদিকে আদালতে মামলা করার পর বিবাদী পক্ষের লোকজন বাদী পক্ষের লোকদের নানাভাবে হুমকি প্রদান করছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

অভিযোগ বিষয়ে হিরণ খাঁন বলেন, উভয়পক্ষের দাওয়াত পেয়ে আমি সালিশ বিচারে ছিলাম। এসময় কিছুটা উত্তপ্ত হলে আমি বেরিয়ে আসি। এরপর কোন ঘটনা ঘটতে পারে।

ঘটনার ব্যাপারে জানতে চাইলে শরীফপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. খলিলুর রহমান বলেন, দু’পক্ষের রাস্তা নিয়ে বিরোধ ছিল। ঘটনার দিন সালিশ বিচারে ছিলাম, তবে কোন সিদ্ধান্ত না হওয়ায় চলে আসি। আসার পর শুনেছি ঘটনা ঘটেছে। তবে বিষয়টি এক সপ্তাহের মধ্যে সামাজিকভাবে সমাধানের চেষ্টা করছি।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *