দাবি আইনজীবীর

 

ডায়াল সিলেট ডেস্ক :: বিএনপির কেন্দ্রীয় সমবায়বিষয়ক সম্পাদক ও হবিগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র জি কে গউছ গুরুতর আহত বলে দাবি করেছেন তার আইনজীবী আফজাল হোসেন। ২৯ আগস্ট ঢাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ। এরপর থেকে হবিগঞ্জ কারাগারে রয়েছেন জি কে গউছ।

 

গউছের আইনজীবী আফজাল হোসেন জানান, ২০১৫ সালের ১৮ জুলাই কারাগারে জি কে গউছের পিঠে ছুরিকাঘাত করা হয়। সেই ক্ষত এখনো তিনি বয়ে বেড়াচ্ছেন। তিনি ঢাকায় এভারকেয়ার হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. সাহাব উদ্দিনের তত্ত্বাবধানে নিয়মিত চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। কিন্তু কারাগারে থাকার কারণে পিঠের সে ব্যথা আবারও বেড়েছে। এরইমধ্যে কারা হাসপাতালের চিকিৎসক তানভির রব শুভ চিকিৎসা দিয়েছেন। তিনি সম্পূর্ণ বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। কিন্তু একজন ডিভিশনপ্রাপ্ত বন্দি হওয়ার পরও জি কে গউছ তার প্রাপ্ত চিকিৎসা ও সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। পরিবার ও দলীয় নেতাকর্মীদের কাছ থেকে তাকে বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়েছে। কারো সঙ্গে দেখা-সাক্ষাতের সুযোগ দিচ্ছে না কারা কর্তৃপক্ষ।

 

হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক একাধিকবার কারাগার পরিদর্শন করেছেন। বন্দিদের সঙ্গে কথা বলেছেন। কিন্তু একজন ডিভিশনপ্রাপ্ত বন্দি ও তিনবারের সাবেক মেয়র জি কে গউছের সঙ্গে একবারও দেখা করেননি। জেলা প্রশাসকের এমন আচরণে তিনি হতাশ হয়েছেন। বিএনপি করার কারণেই কি তার সঙ্গে দেখা করেননি, এমন প্রশ্ন রাখেন আফজাল হোসেন।

 

তিনি আরও জানান, ২০টি মামলায় বিভিন্ন সময় ১৪৫৩ দিন কারাভোগ করেছেন জি কে গউছ। কারাগারে তাকে হত্যাচেষ্টাও করা হয়েছে। অথচ তিনি অত্যন্ত জনপ্রিয় একজন মেয়র ছিলেন। তিনি কারাগারে বন্দি অবস্থায়ও নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন। মূলত তার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়েই তাকে একের পর এক মামলা দিয়ে বারবার কারাগারে পাঠানো হচ্ছে।

 

এ বিষয়ে হবিগঞ্জ জেল সুপার মতিয়ার রহমান বলেন, ‘জি কে গউছ উল্লেখযোগ্য কোনো গুরুতর অসুস্থ বলে আমার জানা নেই। তবে কারা চিকিৎসক নিয়মিত তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করছেন। গুরুতর অসুস্থ হলে প্রয়োজনে তাকে হাসপাতালে স্থানান্তর করার জন্য চিকিৎসক পরামর্শ দিতেন।’

 

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *