সিলেট-২ (বিশ্বনাথ-ওসমানীনগর)

 

ডায়াল সিলেট ডেস্ক :: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-২ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী মুহিবুর রহমান উচ্চ আদালতের নির্দেশে প্রার্থীতা ফিরে পেলেও প্রশাসনিকভাবে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়নি। তারপরও প্রতীক বরাদাদ্দের আগেই আচরণ বিধি লঙ্ঘন করে ‘ট্রাক মার্কা’ দিয়ে ‘পোস্টার সাটিয়ে, লিফলেট বিতরণ করে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচারণা শুরু করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে মেয়র মুহিবুর রহমানের বিরুদ্ধে। ঘটনার সত্যতা পেয়ে আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে তাকে ৫ হাজার টাকা জরিমানাও করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

 

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সিলেটের জেলা প্রশাসক ও রিটানিং অফিসারের নির্দেশে মেয়র মুহিবুর রহমানকে জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কর্মকর্তা (ভূমি) সম্রাট হোসেন।

 

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের সার্বিক সমন্বয়ক ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ইমরুল বলেছেন, মুহিবুর রহমানের মনোনয়ন বৈধ হওয়ার উচ্চ আদালতের লিখিত কোনো আদেশ এখনও তারা পাননি। তাই ওই প্রার্থীকে (মুহিব) প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়নি। তবে, এ প্রসঙ্গে মেয়র মুহিবুর রহমান বলেছেন তার ‘সম্মতি’ ছাড়াই কিছু সংখ্যক সমর্থক ও নেতাকর্মীরা এটি করেছে। এজন্য তিনি তার ফেসবুক পেজে একটি ভিডিও আপলোড করেছেন। এতে তিনি তার সমর্থকদের বলেছেন, আপাদত যেন তারা ‘ট্রাক’ মার্কার পোস্টার ও লিফলেট না টানান।

 

প্রসঙ্গত, সিলেট-২ আসনে মেয়র মুহিবুর রহমান ফিরে আসায় আসনটিতে নির্বাচনী আমেজ ফিরে আসে। তাকে নিয়ে এই আসনে প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন মোট ৭ জন প্রার্থী। মুহিবুর রহমান ছাড়া বাকি ৬ প্রার্থীর মধ্যে রয়েছেন, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও সাবেক এমপি শফিকুর রহমান চৌধুরী (নৌকা), গণফোরামের মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান এমপি মোকাব্বির খান (উদীয়মান সূর্য), জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী ও সাবেক এমপি ইয়াহইয়া চৌধুরী (লাঙ্গল), তৃণমূল বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ আব্দুর রব (সোনালী আঁশ), বাংলাদেশ কংগ্রেস মনোনীত প্রার্থী মো. জহির (ডাব) এবং ন্যাশনাল পিপলস পার্টি ‘এনপিপি’ মনোনীত প্রার্থী মনোয়ার হোসাইন (আম)।

 

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *