ডায়াল সিলেট ডেস্ক :: নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মামলায় ন্যায়বিচার নিশ্চিত করাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

 

বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে সংস্থাটি বলছে, ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলা যেভাবে দেশে ও বিদেশে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে, তাতে বিচারিক শুদ্ধাচার ও স্বাধীনতা অগ্নিপরীক্ষার মুখোমুখি। এ পরিপ্রেক্ষিতে বিচারিক-প্রক্রিয়ার সর্বোচ্চ স্বাধীনতা ও শুদ্ধাচার নিশ্চিত করার বিকল্প নেই বলে বিজ্ঞপ্তিতে মত প্রকাশ করা হয়েছে।

 

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামানকে উদ্ধৃত করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়- এ নীতির প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধা রেখেই আমরা সংশ্লিষ্টদের মনে করিয়ে দিতে চাই যে, প্রত্যেক নাগরিকের ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার সংবিধান স্বীকৃত। তাই বিচারিক প্রক্রিয়ার প্রতিটি ধাপে বিচার বিভাগ সর্বোচ্চ স্বাধীনতা ও শুদ্ধাচার নিশ্চিত করে কার্যক্রম পরিচালনা করেছে- এরূপ নিশ্চিত করার বিকল্প নেই।’

 

ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘দেশের ভেতরে ব্যাপক আলোচনা ও উদ্বেগের পাশাপাশি, বিশ্বখ্যাত ব্যক্তিত্বরাও ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলার শুরু থেকেই একে হয়রানিমূলক বলে মত দিয়েছেন। একইভাবে রায় ঘোষণার প্রতিক্রিয়াও দেশের সীমানায় সীমাবদ্ধ থাকেনি। বিশ্বব্যাপী গণমাধ্যমে পুরো ঘটনাটিকে যেভাবে ভিন্নমত দমনের বা রাজনৈতিক প্রতিহিংসাপরায়ণতার উদাহরণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে, তা অত্যন্ত বিব্রতকর।’

 

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক এক্ষেত্রে টিআইবি অবস্থান ব্যাখ্যা করে বলেন, ‘আমরা সুস্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, কোনো ব্যক্তিবিশেষকেই সংবিধান, আইনের ঊর্ধ্বে স্থান দেয়নি।

 

আইন লঙ্ঘনের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে, মামলা ও বিচার হওয়া অস্বাভাবিক বলা অযৌক্তিক। বিচারিক সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে আদালত ভুল করতে পারেন এবং এ জন্যই আপিলসহ অন্যান্য সুরক্ষা সংবিধান নিশ্চিত করেছে। তবে আমাদের এটাও মনে রাখতে হবে যে, উদ্দেশ্যমূলকভাবে আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ এবং তার মাধ্যমে বিচারের নামে কোনো নাগরিককে হয়রানি করার অধিকার রাষ্ট্রযন্ত্রের নেই।’

 

তিনি বলেন, ‘আমাদের বিচার বিভাগ স্বাধীন এবং বিচারপ্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলার সুযোগ নেই এমন বক্তব্য দিয়ে চলমান বিতর্ক এড়িয়ে যাওয়ারও সুযোগ নেই। সম্পূর্ণ প্রভাবমুক্ত ন্যায়বিচার সবার আগে। তাই আলোচ্য মামলাটিসহ সব ধরনের বিচারিক-প্রক্রিয়াতেই দৃশ্যমান ও বাস্তব নিরপেক্ষতা, স্বাধীনতা ও শুদ্ধাচার নিশ্চিত করা জরুরি। একথা অস্বীকার করার সুযোগ নেই যে, রাষ্ট্রের অন্যসব প্রতিষ্ঠানের মতো বিচারিক-প্রক্রিয়াও বিতর্কের ওপরে থাকতে পারেনি। ড. ইউনূসের মামলাকে কেন্দ্র করে বিচারিকপ্রক্রিয়া যে অগ্নিপরীক্ষার সম্মুখীন, তাতে রাষ্ট্র সাফল্যের সঙ্গে উত্তীর্ণ হবে-এ প্রত্যাশা টিআইবির।’

 

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *