ডায়াল সিলেট ডেস্ক :: পবিত্র রমজান মাসের বাকি আরও দেড় মাসেরও বেশি সময়। রমজান মাসে সিলেটের মানুষের ইফতারিতে শরবত, পিয়াজু-ছোলা, বেগুনীসহ নানা ভাজাপোড়া ছাড়া ইফতার এখনই জমে না। তবে এই দিনগুলো আসার আগেই সিলেিটি বাড়তে শুরু করেছে ইফতারের অন্যতম উপকরণ ছোলা, মটর ডাল ও চিনির দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে এসব পণ্যের দাম কেজিতে মান ভেদে ১৫ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে। ফলে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ ক্রেতারা। শনিবার সিলেট মাহানগরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।

 

বিক্রেতারা জানান, রোজার আগেই সব ধরনের পণ্যের দাম বাড়ে। তবে এবার আমদানি নির্ভর সব পণ্যের দাম আগে থেকেই বাড়তে শুরু করেছে।

 

বাজার ঘুরে দেখা যায়, সপ্তাহের ব্যবধানে ছোলার দাম বেড়েছে ১০-১২ টাকা। প্রতি কেজি ছোলা মানভেদে পাইকারি বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৮৮ থেকে ৯৬ টাকা পর্যন্ত। আর খুচরা বাজারে সেটি বিক্রি হচ্ছে ৯৫ থেকে ১১০ টাকা পর্যন্ত। গত সপ্তাহে খুচরা বাজারে ছোলা বিক্রি হয়েছে ৮০ থেকে ৯০ টাকায়।

 

মটর ডাল গত সপ্তাহে পাইকারি বাজারে কেজি প্রতি বিক্রি হয়েছিল ৬২ টাকায়। এ সপ্তাহে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৬ টাকায়। আর খুচরা বাজারে বিক্রি হয়েছিল ৬৬ থেকে ৭০ টাকায়। এ সপ্তাহে খুচরা বাজারে মটর ডাল প্রতি কেজি ৭৮ থেকে ৮৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতিকেজি মটর ডালের দাম বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা। এছাড়া দাম বেড়েছে আটা, ময়দা, মসুর ডাল, মুগডাল, তেল, পেঁয়াজ ও রসুনসহ নিত্যপণ্যের।

 

প্রতিকেজি খোলা আটা ৫০ ও প্যাকেটজাত আটা বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা কেজিতে। আর কেজিতে ৪ থেকে ৫ টাকা বেড়ে খোলা ময়দা ৬০ থেকে ৭০ এবং প্যাকেটজাত ময়দা ৭০ থেকে ৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতিকেজি মসুর ডাল ২ থেকে ৩ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১০৪ থেকে ১০৫ টাকায়। কেজিতে ৪ থেকে ৫ টাকা বেড়ে মানভেদে মুগডাল বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ থেকে ১৫৫ টাকায়।

 

এছাড়া পাইকারী বাজারে দেশি পেঁয়াজ প্রতিকেজি ৭০ ও ভারতীয় পেঁয়াজ ১০০ টাকা দরে বিক্রি হলেও খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজের দাম ৮০ ও ভারতীয় পেঁয়াজ ১২০ টাকা।

 

ক্রেতারা বলছেন, সরকার চাইলে রোজার সময় নিত্যপণ্যের দাম নাগালে রাখতে পারে। এজন্য দরকার কেবল কঠোর নজরদারি। সঠিক নজরদারির অভাবে ব্যবসায়ীরা ইচ্ছেমত দাম বাড়ায়। পাইকারি বাজারে মাঝে মধ্যে অভিযান হলেও খুচরা বাজারে মনিটরিং কম হয়। যার প্রভাব পড়ে আমাদের উপর। বাধ্য হয়ে অতিরিক্ত দামে পণ্য কিনতে হয়। রোজার আগে যাতে নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে থাকে সেদিকে সংশ্লিষ্টদের নজর রাখা উচিত বলে মন্তব্য করেন ক্রেতারা।

 

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *