ডায়াল সিলেট ডেস্ক :: নানা কারণে সরকারের অর্থনৈতিক অবস্থা খুব একটা ভালো না বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব ও কিশোরগঞ্জ-৩ (করিমগঞ্জ-তাড়াইল) আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মুজিবুল হক চুন্নু। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে করিমগঞ্জ কলেজ মোড় এলাকায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে নির্বাচন-পরবর্তী দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।

 

মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ‘আমার ধারণা—সরকার যদি দেউলিয়া না হয়ে যায়। তিনি যদি উতরাইয়া উঠতে পারেন, তাহলে আমি করিমগঞ্জ-তাড়াইলের রাস্তাগুলো করে ফেলতে পারব। কারণ, সরকারের অর্থনৈতিক অবস্থা নানান কারণে খুব একটা ভালো না। সরকার চেষ্টা করতেছে উতরাইয়া ওঠার। হয়তো উতরাইয়া উঠতে পারবেও। কারণ, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী খুবই অভিজ্ঞ রাষ্ট্রনায়ক।’

 

তিনি বলেন, ‘আমার দুইটা উপজেলার একটা ইউনিয়নে কাজ করতে পারি নাই। এইটা হলো সুতারপাড়া ইউনিয়ন। সুতারপাড়া পড়ে যায় হাওর এলাকায়। তাদের একটা রাস্তার দাবি ছিল, এটা আমি পাঁচ বছরেও করতে পারি নাই। আমার কোনো আন্তরিকতার অভাব ছিল না। আমি গত পার্লামেন্টের প্রথম অধিবেশনে জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে এইটা উত্থাপন করে আলোচনা করেছি। মন্ত্রী মহোদয় বলেছিলেন রাস্তাটি করে দিবেন। আসলে আমারও ধারণা ছিল পাঁচ-সাত কোটি টাকা লাগবে। পরে যখন সার্ভে করে রাস্তাটা, তখন রাস্তা ও ব্রিজসহ ২৭-২৮ কোটি টাকা আসে। যার জন্যে এইটা করতে পারে নাই। এই জন্য এই ইউনিয়নের মানুষ আমার প্রতি ভীষণভাবে ক্ষুব্ধ ছিল।’

 

জাতীয় পার্টির মহাসচিব বলেন, ‘আপনারা অনেকেই আশা করছেন আওয়ামী লীগ সরকারে আইলে মন্ত্রী হব। মন্ত্রী হইলে আমার লাভ। মন্ত্রী হইলে আমি দুইটা গাড়ি পাব। সরকারি তেল পাব, প্রটোকল পাব, বেতন পাব। অনেক কিছু পাব। আর কাজের জন্য যদি বলি এলাকার মন্ত্রীর চেয়ে পার্লামেন্টে বিরোধী দল হিসেবে কাজ অনেক বেশি পাব।’

 

তিনি আরও বলেন, ‘আমি তো পার্লামেন্ট অফিসে যাচ্ছি চিফ হুইপ হিসেবে, আমি মানসিকভাবে প্রশান্তিতে আছি। কারণ, আমি মানুষের পক্ষে কথা বলতে পারব এবং মন্ত্রীদেরকে জবাবদিহি করতে পারব।’

 

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *