৭৮ রানে গুটিয়ে হ্যাটট্রিক হার সিলেটের

প্রকাশিত: ২:৫৮ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ২৭, ২০২৪

৭৮ রানে গুটিয়ে হ্যাটট্রিক হার সিলেটের

স্পোর্টস ডেস্ক :: বিপিএলে খুলনা টাইগার্সের বিপরীত চিত্র সিলেট স্ট্রাইকার্সের। এনামুল হক বিজয়ের দল যখন টানা হ্যাটট্রিক জয় পেয়েছে বিপিএলে তখন মাশরাফি বিন মর্তুজার সিলেট হারের হ্যাটট্রিক করেছে।

 

অথচ, বিপিএলে প্রথম জয় পাওয়ার দুর্দান্ত সুযোগ ছিল সিলেটের। সিলেট স্টেডিয়ামে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসকে ১৩০ রানের মধ্যে আটকিয়ে। কিন্তু টি-টোয়েন্টির এই যুগে অল্প রানের লক্ষ্যটাও পেরিয়ে যেত পারেনি তারা। উল্টো ৫২ রানে হেরেছেন মাশরাফিরা।

 

১৩১ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে মাত্র ৭৮ রানে অলআউট হয় সিলেট। এবারের বিপিএলে এখন পর্যন্ত সর্বনিম্ন স্কোর এটি। অল্প রানের ম্যাচেও কুমিল্লাকে জয় এনে দিতে প্রতিপক্ষের ব্যাটিং ধসিয়ে দিয়েছেন আলিস ইসলাম। ম্যাচে ১৭ রানে ৪ উইকেট নিয়ে সিলেটের টপ অর্ডার ভেঙে দিয়েছেন ২০১৯ বিপিএলের হ্যাটট্রিক করা অফ স্পিনার।

 

শুক্রবারও হ্যাটট্রিকের সুযোগ তৈরি করেছিলেন আলিস। তবে সফল হতে পারেননি তিনি। হ্যাটট্রিক না পেলেও তাঁর ঘূর্ণিতে দলীয় ২৮ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে বসে সিলেট। সেখান থেকে রায়ান বার্লকে নিয়ে দলকে প্রথম জয় এনে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন জাকির হাসান। সপ্তম উইকেটে ৪০ রানের জুটি গড়েছিলেন তাঁরা। তবে ১৪ রানে বার্ল আউট হলে ম্যাচের হার নিশ্চিত হয়ে যায়। জিম্বাবুয়াইন ব্যাটারের আউটের পর দ্রুতে ফিরে যান জাকিরও। সর্বোচ্চ ৪১ রান করেন তিনি।

 

এর আগে সিলেটে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন মাশরাফি। অধিনায়কের সিদ্ধান্তটা যে সঠিক ছিল তার প্রমাণ প্রথম ওভারেই দেন সিলেটের পেসার বেন কাটিং। চতুর্থ বলে লিটন দাসকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে।

 

শুরুতেই লিটনকে হারালেও দ্বিতীয় উইকেটে দুর্দান্ত জুটি গড়েছিলেন মোহাম্মদ রিজওয়ান ও ইমরুল কায়েস। দুজনে মিলে ৪৭ রানের জুটিও গড়েছিলেন। তবে ব্যক্তিগত ২৪ রানে রিজওয়ান আউট হওয়ার পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস।

 

রিজওয়ানের আউটের পর দ্রুত ফিরে যান ইমরুলও। তিনে নেমে শুরুতে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করলেও ২৮ বলে ৩০ রান করে আউট হন ইমরুল। এতে টানা তৃতীয় ফিফটি পাওয়া হয়নি বাঁহাতি ব্যাটারের। দুজনকেই ফিরিয়েছেন প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা সিলেটের স্পিনার সামিত প্যাটেল। পরে রোস্টন চেজকে আউট করে প্রতিপক্ষের টপ অর্ডার ভেঙে দেন ইংল্যান্ডের বাঁহাতি স্পিনার।

 

চেজ যখন আউট হন তখন কুমিল্লার স্কোর ৫ উইকেটে ৭৪ রান। সেখান থেকে দল যে ৮ উইকেটে ১৩০ রান করতে পারে তার পুরো অবদান দুই ব্যাটার জাকের আলী ও খুশদিল শাহর। ছয়ে নামা জাকের করেন ২৯ রান। আর ২১ রান করেন খুশদিল। ১৬ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়ে সিলেটের সেরা বোলার প্যাটেল।

 

0Shares

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ