প্রকাশিত: ৩:৫৮ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ৩০, ২০২৪
স্পোর্টস ডেস্ক :: জয় যেন সোনার হরিণ হয়ে উঠেছে সিলেট স্ট্রাইকার্সের জন্য। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) টানা চার ম্যাচে হেরেছে মাশরাফি বিন মর্তুজার দল। এবারের টুর্নামেন্টে একমাত্র তাঁরাই এখনো জয়হীন। মিরপুরের পর নিজেদের হোম গ্রাউন্ড সিলেটে জয়ের প্রত্যাশা করেছিলেন সমর্থকেরা। কিন্তু সোমবারও সেটি সম্ভব হলো না। নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে ৮ উইকেটে হেরেছে সিলেট।
হ্যাটট্রিক হারের পর সিলেটের খেলার প্রতিও যেন কিছুটা আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন স্থানীয় সমর্থকেরা। সিলেট পর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচে যেমন সমর্থকদের উপচে পড়া ছিল, আজ ঠিক বিপরীত চিত্র। একরকম ফাঁকা গ্যালারিতেই চট্টগ্রাম বিপক্ষে খেলছেন মাশরাফিরা।
অল্প কিছু সমর্থক থাকলেও তাঁদের প্রত্যাশা মোটানোর মতো স্কোর গড়তে পারেনি সিলেট। আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৪ উইকেটে তারা তুলেছে ১৩৭ রান। শক্তিশালী চট্টগ্রামের বিপক্ষে এ রানে নির্ভর করা সহজ হবে না—সেটাও ছিল একরকম পরিষ্কার। জিততে হলে তানজিম হাসান সাকিব, দুশান হেমন্ত, সামিত প্যাটেলদের অসাধারণ কিছুই করতে হতো। তাঁরাও তেমন কিছু দেখাতে পারেননি। তানজিদ হাসান তামিম ও টম ব্রুসের ফিফটির কল্যাণে ১৪ বল হাতে রেখেই জয় নিশ্চিত করেছে চট্টগ্রাম।
বিপিএলের পাঁচ ম্যাচে চতুর্থ জয়ে ৮ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষ এখন শুভাগত হোমের চট্টগ্রাম। ১৩৮ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ওপেনিং জুটিতে ২৩ তোলে চট্টগ্রাম। চতুর্থ ওভারে তানজিম সাকিব দারুণ এক ডেলিভারিতে ফেরান আভিষ্কা ফার্নান্দো (১৭)। দ্বিতীয় উইকেটে মূলত জয় প্রায় নিশ্চিত করে ফেলেছেন আরেক ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম এবং নিজের প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা টম ব্রুস। ৬৫ বলে ৮৯ রানের দারুণ একটি জুটি গড়েন দুজনে।
দলের ১১২ রানে ফেরেন তামিম। ৩টি চার ও ২টি ছক্কায় ৪০ বলে ৫০ রান করেছেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। ৪৪ বলে ৫১ রানের ইনিংস জয় নিশ্চিত করেছেন ব্রুস। ১৩ রানে অপরাজিত ছিলেন শাহাদাত হোসেন দিপু।
যদিও আজকের ম্যাচটা চমক দিয়েই শুরু হয়। এবারের বিপিএলে টস জিতে ফিল্ডিং নেওয়াকে যেন অবধারিত ব্যাপার বানিয়ে ফেলেছিলেন অধিনায়কেরা। আগের ১২ ম্যাচে এটাই ছিল দৃশ্য। কিন্তু ১৩তম ম্যাচে টস জিতে সিলেটের অধিনায়ক মাশরাফি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আগে ব্যাটিংয়ের।
সিলেটে গত কয়েক ম্যাচে দেখা মিলেছিল রান ফোয়ারার। ফলে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে চট্টগ্রামের সামনে একটা বড় লক্ষ্য ছুড়ে দেওয়াই পরিকল্পনা ছিল সিলেটের। কিন্তু টানা ব্যর্থ হওয়া তাদের দুই ওপেনার শুরুতেই চাপে ফেলে দেন দলকে। দ্বিতীয় ওভারেই পেসার বিলাল খানের তোপে ফেরেন মোহাম্মদ মিঠুন ও নাজমুল হোসেন শান্ত।
ওভারের দ্বিতীয় বলে বোল্ড হয়ে ১ রানে আউট হন মিঠুন। ৪ ম্যাচ মিলিয়ে এবারের বিপিএলে তাঁর রান ৪৬। শেষ বলে আম্পায়ার্স কলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ে কাটা পড়েন শান্ত (৬)। বিপিএলের সর্বশেষ সংস্করণে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহ শান্ত এবার ৪ ম্যাচে করেছেন ৬০ রান।
তৃতীয় উইকেটে জাকির হাসান ও হ্যারি টেক্টরের ৪৯ বলে ৫৭ রানের জুটিতে বিপর্যয় কাটিয়ে ওঠে সিলেট। যদিও রানের চাকা ততটা টি-টোয়েন্টিসুলভ ছিল না। ১১তম ওভারে জাকিরকে ফিরিয়ে চট্টগ্রামকে ব্রেকথ্রু এনে দেন স্পিনার নিহাদুজ্জামান। ২৬ বলে ৩১ রান আসে জাকিরের ব্যাট থেকে। তখন দলের রান ৩ উইকেটে ৬৫ রান।
দ্বিতীয় স্পেলে টেক্টরকেও ফেরান বিলাল। থিতু হয়েও দলের স্কোরটা বড় করতে পারেননি এই আইরিশ ক্রিকেটার। ৩ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৪২ বলে করেছেন ৪৫ রান। এরপর রায়ান বার্লের ২৯ বলে ৩৪ ও আরিফুল হকের ১২ বলে ১৭ রানের সৌজন্যে ৪ উইকেটে ১৩৭ রান তোলে সিলেট। চট্টগ্রামের হয়ে ওমানের বাঁহাতি পেসার বিলাল ২৪ রানের বিপরীতে নিয়েছেন ৩টি উইকেট।
Address: Kaniz Plaza, Zindabazar, Sylhet
United Kingdom, London Mobile :+447438548379
dialsylhetnews@gmail.com
Design and developed by AshrafTech