ডায়াল সিলেট ডেস্ক :: মিয়ানমারের ছোড়া মর্টার শেলে বাংলাদেশের নাগরিক কেন মারা যাবে- এমন প্রশ্ন রেখে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, এ ঘটনায় একটা প্রতিবাদ জানানোর সাহস পায়নি সরকার। নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণেই সরকার সাহস পায় না।

 

বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

 

এসময় সীমান্ত পেরিয়ে বিজিপি অর্থাৎ মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশ সদস্যদের বাংলাদেশে পালিয়ে আসাকে রহস্যজনক বলেন তিনি।

 

রিজভী বলেন, বান্দরবানের নাইখ্যাংছড়িতে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত অরক্ষিত হয়ে পড়েছে। সেখানে বাংলাদেশের নাগরিকরা চরম নিরাপত্তাহীনতায়। সীমান্তে বাংলাদেশি এলাকায় নারী—পুরুষ কেউ নিরাপদ নয়। জীবন যাচ্ছে মর্টারের শেলে। বাংলাদেশের মানুষের জীবন এবং ভূমি এখন অরক্ষিত।

 

তিনি আরও বলেন, পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে দলে দলে লোক এবং অস্ত্র বাংলাদেশে অনুপ্রবিষ্ট হচ্ছে। আর বাংলাদেশ সরকারের অভিসন্ধিপ্রসূত নীরবতা মূলত দেশের মানুষকে নতজানু করার এক গভীর চক্রান্ত। প্রধানমন্ত্রীর শান্তির বাণী এখন দেশের সার্বভৌমত্বকে হুমকির মুখে ফেলেছে। আমাদের সীমান্তরক্ষী বাহিনী প্রতিদিনই পিছু হটছে, আর তাতে বাংলাদেশের মানুষ বিপদের সম্মুখীন হচ্ছে।

 

জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার শাসনামলে বাংলাদেশের সীমান্ত সুরক্ষিত এবং জনগণ নিরাপদ ছিল বলে দাবি করেন রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, খালেদা জিয়া জনগণের সমাদৃত নেত্রী, এটাই তার অপরাধ। একটা ক্যাঙ্গারু কোর্টের মাধ্যমে তাকে রায় দিয়ে আটকে রেখেছে সরকার। তার সুচিকিৎসা প্রয়োজন। কিন্তু সরকার সেটা দিচ্ছে না।

 

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের কথাকে চটুল উল্লেখ করে রিজভী বলেন, তার কথায় অপকর্ম ও দখলদারিত্বের পাপ আড়াল করার চেষ্টা করতে গিয়ে আওয়ামী কলঙ্ক আরও তীব্র হয়ে ওঠে। কারণ রাজনীতি নিয়ে ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্য যাত্রাপালার সংলাপের ঢংয়ে সস্তা বিনোদনে ভরপুর। এই ভদ্রলোককে দেখলাম, বিনাভোটের সরকারপ্রধানের কাছে লেখা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বাইডেনের একটি চিঠি নিয়ে প্রায় হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়েছেন।

 

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *