ছাত্রলীগ নেতা আরিফ হত্যা: আত্মসমর্পণের পর কারাগারে কাউন্সিলর নিপু

প্রকাশিত: ৮:০৫ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২৪

ছাত্রলীগ নেতা আরিফ হত্যা: আত্মসমর্পণের পর কারাগারে কাউন্সিলর নিপু

ডায়াল সিলেট ডেস্ক :: সিলেটে আলোচিত আরিফ হত্যা মামলার প্রধান আসামি সিলেট সিটি করপোরেশনের ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হিরণ মাহমুদ নিপুকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

 

সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকালে নিপু সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করলে বিচারক কিউ. এম নাছির উদদীন তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

 

এ তথ্য নিশ্চিত করে সিলেট মহানগর পুলিশের (এসএমপি) অতিরিক্ত উপ-পুলিশ (গণমাধ্যম) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, আদালতের নির্দেশ পেয়ে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হচ্ছে।

 

নিপু এতদিন উচ্চ আদালত থেকে জামিনে ছিলেন বলে জানান তিনি।

 

২০২৩ সালের ২০ নভেম্বর রাত ১২টার দিকে নগরীর বালুচরের টিবি গেইট এলাকায় ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হন আরিফ। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করার পর রাত দেড়টার দিকে মারা যান তিনি।

 

নিহত আরিফ নগরীর টিভি গেইট এলাকার ফটিক মিয়ার ছেলে। জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম গ্রুপের সক্রিয় কর্মী ছিলেন তিনি। আরিফের বাবা ফটিক মিয়া অটোরিকশা চালান, তবে অসুস্থ থাকায় এখন বেকার। মা আঁখি বেগম বালুচর এলাকার রাজা মিয়ার কলোনিতে বাড়িতে বাড়িতে রান্নাবান্নার কাজ করে বর্তমানে সংসার চালাচ্ছেন।

 

আরিফকে কুপিয়ে ফেলে যাওয়ার সময় দৌড়ে সেখানে গিয়েছিলেন মা আঁখি বেগম। সে সময় তিনি গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, ‘ঘটনার পরপরই আমি সেখানে গিয়ে দেখেছি, সাদা পাঞ্জাবি পরে হিরণ মাহমুদ নিপু মোটরসাইকেলে উঠে চলে যাচ্ছেন। পরে স্থানীয় বাসিন্দাদের সহায়তায় আমি ছেলেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় নিয়ে হাসপাতালের পথে রওনা হই। যাওয়ার পথে ছেলে আমাকে বলে- হিরণ মাহমুদ, রনি, মামুন, হেলালসহ ১৫-২০ জন মিলে আমার ওপর হামলা চালিয়েছে।’

 

সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হিরণ মাহমুদ নিপু গত বছর অনুষ্ঠিত সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচনে ৩৬ নম্বর ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। তার নেতৃত্বেই আরিফকে কুপিয়ে ও ছুরিকাঘাত করে খুন করা হয়েছে বলে দাবি পরিবারের।

 

আরিফ হত্যার পর ২২ নভেম্বর আঁখি বেগম বাদী হয়ে সিলেটের এয়ারপোর্ট থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় হিরণ মাহমুদসহ ১০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয় আরও ৫ জনকে। মামলার আগে ও পরে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। বাকিরা অধরা ছিলেন।

 

গত বছরের ২৮ নভেম্বর হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর সমন্বয়ে গঠিত ডিভিশন বেঞ্চ হিরণ মাহমুদ নিপুকে ৬ সপ্তাহের আগাম জামিন দিয়ে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন।

 

0Shares