প্রকাশিত: ১০:৪৩ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৪
ডায়াল সিলেট ডেস্ক :: বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য দেশের ২১ জন বিশিষ্ট নাগরিককে ২০২৪ সালের একুশে পদক দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এদের মধ্যে রয়েছেন সিলেটের তিন গুণীজন।
মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
একুশে পদকের তালিকায় থাকা সিলেটের তিনজনের মধ্যে রয়েছেন- খ্যাতিমান সুরমার ও সঙ্গীতশিল্পী বিদিত লাল দাস (মরণোত্তর), সঙ্গীতশিল্পী শুভ্র দেব ও আবৃত্তিশিল্পী রুপা চক্রবর্তী।
বিদিত লাল ১৯৩৮ সালের ১৫ জুন সিলেটের শেখঘাটে সম্ভ্রান্ত জমিদার লাল পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি লোকগানের শিল্পী ও সুরকার। বিদিত লাল হাছন রাজা, রাধারমণ দত্ত, ও গিয়াস উদ্দিনসহ অনেক লোকসংগীত শিল্পীদের গানের সুর করেছেন।
লোক কবিদের লোকগান সংগ্রহ ও সুর সংযোজনের মাধ্যমে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন বিদিত লাল দাস।
তিনি ১৯৬০ এর দশকের বেতার শিল্পী। তার সুরকৃত গানের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল “কারে দেখাবো মনের দুঃখ গো”, “সিলেট প্রথম আজান ধ্বনি”, “প্রাণ কান্দে মোর”, “মরিলে কান্দিসনে আমার দায়”, “সাধের লাউ বানাইলো মোরে বৈরাগী”, ও “আমি কেমন করে পত্র লিখি”। তিনি সিরাজউদ্দৌলা, দ্বীপান্তর, তপসী, প্রদীপশিখা, বিসর্জন, ও সুরমার বাঁকে বাঁকে নাটকের সংগীত পরিচালনা করেছেন। তার সফল্যের মধ্যে নজরুল একাডেমি পুরস্কার ও কলকাতায় ভারতীয় লোক সংবর্ধনা উল্লেখযোগ্য। ২০১২ সালের ৮ অক্টোবর তিনি ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।
সিলেটের আরেক কৃতিসন্তান শুভ্র দেব। তিনিও সংগীতে একুশে পদক পেয়েছেন। শুভ্র দেব কাস্টঘর এলাকার বাসিন্দা। সিলেট সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র ছিলেন।
শুভ্র দেব ২৬ আগস্ট ১৯৬৬ সালে সিলেটে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৭৮ সাল থেকে গান করেন।
তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জৈবরসায়ন বিভাগ থেকে মাস্টার্স ডিগ্রী অর্জন করেন। ১৯৭৮ সালে বাংলাদেশ টেলিভিশনের ‘নতুন কুঁড়ি’ অনুষ্ঠানে গানের প্রতিযোগীতায় অংশ নিয়ে তিনি প্রেসিডেন্ট পুরস্কার লাভ করেন।
শুভ্র দেব গত শতকের আশির দশকে তার কর্মজীবন শুরু করেন। তিনি আধুনিক রোমান্টিক গান গেয়ে থাকেন। তার প্রকাশিত প্রথম সঙ্গীত অ্যালবাম ‘হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা’। অ্যালবামটি ১৯৮৪ সালে প্রকাশিত হয়। এছাড়াও তিনি আরেকজন বাংলাদেশী গায়িকা শাকিলা জাফর ও ভারতীয় শিল্পী অলকা ইয়াগনিকের সাথে যৌথ গান গেয়েছেন। যে সমস্ত বাংলাদেশী শিল্পী এমটিভি’র তৈরী মিউজিক ভিডিওতে অংশগ্রহণ করেছেন, তিনি তাদের প্রথম দিকের একজন। তার টেলিছবি স্ত্রীর পত্র ২০০৩ সালে সেরা টেলিছবি হিসেবে ইউরো-বিনোদন বিচিত্রা পুরস্কার লাভ করে।
আবৃত্তি ক্যাটাগরিতে একুশে পদক পেয়েছেন রুপা চক্রবর্তী। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারি রেজিস্ট্রার হিসেবে কর্মরত।
Address: Kaniz Plaza, Zindabazar, Sylhet
United Kingdom, London Mobile :+447438548379
dialsylhetnews@gmail.com
Design and developed by AshrafTech