ব্যবসায়ে নিষেধাজ্ঞা

 

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :: ঋণ সুবিধার জন্য জাল-জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে নিজের সম্পদ সম্পর্কে ভুয়া তথ্য প্রদানের অভিযোগে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ৩৫ কোটি ৫০ লাখ ডলার জরিমানা এবং আগামী ৩ বছর নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যে ব্যবসা পরিচালনায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন নিউইয়র্কের ম্যানহাটন আদালত।

 

শুক্রবার ম্যানহাটন আদালতের বিচারক আর্থার এনগোরোন এই রায় ঘোষণার সময় বলেন, ‘বিচারের সময় কৃত অপরাধের জন্য আসামিদের মধ্যে অনুশোচনার গুরুতর অভাবপরিলক্ষিত হয়েছে। এটি দুঃখজনক।’

 

প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে প্রতারণা ও জাল-জালিয়াতির অভিযোগে ট্রাম্প ও তার দুই ছেলে ডোনাল্ড ট্রাম্প জুনিয়র ও এরিক ট্রাম্প এবং প্রধান অর্থনৈতিক সচিব অ্যালেন ওয়েইসেলবার্গের বিরুদ্ধে মামলাটি করেছিলেন নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের অ্যাটর্নি জেনারেল লেটিশিয়া জেমস।

 

ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম শীর্ষ রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী। মামলার অভিযোগে বলা হয়েছিল, ব্যাংক ঋণ সুবিধা পাওয়ার জন্য ওয়েইসেলবার্গকে দিয়ে একটি নথি প্রস্তুত করিয়েছিলেন তিনি ও তার দুই ছেলে। সেই নথিতে বলা হয়েছিল, ট্রাম্পর প্রতিষ্ঠান ট্রাম্প অর্গানাইজেশনের বাৎসরিক মুনাফা ৩০৬ কোটি ডলারের বেশি। লেটিশিয়া জেমসের অভিযোগ — নথির এই তথ্যটি ভুয়া।

 

মামলা দায়েরের পর তদন্তে অভিযোগের সত্যতা ধরা পড়ে। তার ভিত্তিতেই শুক্রবার এই রায় দিয়েছেন আদালত। রায়ে ট্রাম্পের পাশাপাশি ডোনাল্ড ট্রাম্প জুনিয়র এবং এরিক ট্রাম্পকে ৪০ লাখ ডলার করে এবং ওইসেলবার্গকে ১০ লাখ ডলার করে জরিমানা করা হয়েছে।

 

৯০ পৃষ্ঠার রায়ে আদালত আরও বলেছেন, আগামী ৩ বছর ট্রাম্প অর্গানাইজেশন নিউইয়র্কে কোনো ব্যবসা করতে পরবে না এবং ট্রাম্পও নিউইয়র্কের কোনো কোম্পানির নির্বাহী পদে আসতে পারবেন না। আর ট্রাম্পের অর্থনৈতিক সচিব অ্যালেন ওয়েইলেসলিকে নিউইয়র্কে অর্থনৈতিক-বাণিজ্যিক কোনো প্রতিষ্ঠানে জড়িত হওয়ার ক্ষেত্রে আজীবন নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।

 

শুক্রবার রায় ঘোষণার পর মামলার বাদি লেটিশিয়া জেমস উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। আর ট্রাম্পের আইনজীবী আলিনা হাব্বা জানিয়েছেন, তারা রায়ের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আদালতে আপিল করবেন।

 

এদিকে ম্যানহাটান আদালতের রায়ের প্রতিক্রিয়ায় নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে ট্রাম্প বলেছেন, ‘এই রায় ভুয়া, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ এবং তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ‘অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার।

 

-সূত্র : এনডিটিভি

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *