আওয়ামীলীগের সংবর্ধনায় অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের চেয়ার ছুড়াছুড়ি ও ভাংচুর

প্রকাশিত: ১০:৫৪ অপরাহ্ণ, মার্চ ২, ২০২৪

আওয়ামীলীগের সংবর্ধনায় অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের চেয়ার ছুড়াছুড়ি ও ভাংচুর

ডায়ালসিলেট ডেস্ক :: সিলেট নগরীর কিনব্রিজের চাঁদনীঘাট এলাকায় সিলেটে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরীর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগের  নেতাকর্মীদের মধ্যে হট্টগোল ও চেয়ার ছোড়াছুড়ির ঘটনা ঘটেছে।

 

 

আজ শনিবার বিকেল পাঁচটার দিকে নগরের জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা হট্টগোল শুরু করে এসময় চেয়ার ছোড়াছুড়ি ঘটনা ঘটে। এতে শতাধিক প্লাস্টিকের চেয়ার ভাঙচুর করা হয়।

 

 

জানা যায় শফিকুর রহমান চৌধুরী সিলেট-২ (বিশ্বনাথ-ওসমানীনগর) আসনের সংসদ সদস্য প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী হিসেবে মনোনীত হওয়ায় তাকে সংবর্ধনার দেয়ার জন্য উদ্যোগ নেয় জেলা আওয়ামী লীগ।

 

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন খানের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সৈয়দা জেবুন্নেছা হক, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আবদুর রহমান।

 

 

প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন জানান, আলোচনা সভা সংক্ষিপ্ত করতে সংবর্ধিত অতিথির বক্তব্যের পরই বিকেল পাঁচটার দিকে প্রধান অতিথিকে বক্তব্য দেওয়ার জন্য ডাকা হয়। তখন মঞ্চে সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী এবং সিলেট-৩ (দক্ষিণ সুরমা-বালাগঞ্জ-ফেঞ্চুগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব ও সুনামগঞ্জ-১ (তাহিরপুর-ধর্মপাশা-জামালগঞ্জ-মধ্যনগর) আসনের সংসদ সদস্য রণজিত চন্দ্র সরকার উপস্থিত ছিলেন।

 

 

মেয়র ও দুই সংসদ সদস্যকে কেন বক্তব্য দিতে দেওয়া হলো না, এ নিয়ে ছাত্রলীগের বড় একটা অংশ হট্টগোল শুরু করে। পরে প্রধান অতিথি বক্তব্যের পর অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করে গাড়িতে ওঠামাত্রই ছাত্রলীগের বিক্ষুব্ধ অংশটি অন্তত শতাধিক চেয়ার ভাঙচুর করেন। পরে অনুষ্ঠানস্থলে থাকা পুলিশ সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

 

 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের একজন নেতা বলেন, বর্তমানে সিলেট আওয়ামীলীগের দুই পক্ষে বিভক্ত। তার মধ্যে একটি পক্ষ বর্তমান মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী ও দুই সংসদ সদস্য। অন্য পক্ষ সঙ্গে আছেন প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী ও মাসুক উদ্দিন আহমদ নাসির উদ্দিন খান।
তবে অনুষ্টানে বর্তমান মেয়র ও ২ সংসদ সদস্যদের বক্তব্য দিতে না ডাকায় তাদের অনুসারী ছাত্রলীগের একটা অংশ ক্ষুব্ধ হয় এবং প্রধান অতিথি বক্তব্য শেষে মঞ্চ থেকে ত্যাগ করার পরই ছাত্রলীগের বিক্ষুব্ধরা হট্টগোল করে এবং চেয়ার ভাঙচুর করেন।

 

 

এবিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. নাসির উদ্দিন খান জানান, এরকম বড় অনুষ্ঠান টুকটাক বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ঘটে তবে সেখানে হট্টগোল বা চেয়ার ভাঙচুরের বড় কোনো ঘটনা ঘটেনি।

 

 

জেলা আওয়ামী লীগের একটি সূত্র জানিয়েছে, ঢাকায় যাওয়ার তাড়া থাকায় প্রধান অতিথি আবদুর রহমানকে আগেই বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়। এরপর মেয়র, সংসদ সদস্যসহ আমন্ত্রিত অন্য অতিথিদের বক্তব্য দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু প্রধান অতিথি মঞ্চে থাকাকালে কেন মেয়র ও দুজন সংসদ সদস্যকে বক্তব্য দিতে ডাকা হয়নি, এ জন্য তাঁদের কর্মী-সমর্থকেরা ক্ষিপ্ত হন। প্রধান অতিথি বক্তব্য শেষে চলে যাওয়ার সময় মেয়র ও দুজন সংসদ সদস্যও অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করেন। এরপরই ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।

 

 

0Shares