ডায়ালসিলেট ডেস্ক :: গাজার দক্ষিণাঞ্চলের রাফাহ থেকে শনিবার কেরেম শালোম ক্রসিংয়ের দিকে রকেট ছোড়া হয়েছে বলে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলছে । ইসরায়েল ও দক্ষিণ গাজা উপত্যকার মধ্যবর্তী ক্রসিংটি এই সপ্তাহের শুরুতে মারাত্মক গোলাগুলির পর সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।

 

 

সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, চারটি রকেট নিক্ষেপ শনাক্ত করা হয়েছে, যেগুলো রাফাহ এলাকা থেকে অতিক্রম করেছে। একটি রকেটকে ইসরায়েলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বাধা দিয়েছে। বাকিগুলো কেরেম শালোমের আশপাশে খোলা জায়গায় পড়েছে। এতে কোনো আঘাতের খবর পাওয়া যায়নি।

 

 

 

সেনাবাহিনীর মতে, শুক্রবার একই এলাকা থেকে ইসরায়েল ও দক্ষিণ গাজা উপত্যকার মধ্যবর্তী কেরেম শালোম ক্রসিংয়ের দিকে একটি রকেট ছোড়া হয়।

 

এসময় রকেটের আঘাতে চার সেনা নিহত হওয়ার পর রবিবার ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ অস্থায়ীভাবে ক্রসিংটি বন্ধ করে দেয়। অধিকাংশ মানবিক সহায়তার সরবরাহ গাজায় প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার আগে সেখানে পরিদর্শন করা হতো। ইসরায়েল রাফাহর পূর্বাঞ্চলে উচ্ছেদের নতুন আদেশ দেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর সর্বশেষ রকেট নিক্ষেপের ঘটনাটি ঘটল।

 

 

জাতিসংঘ বলেছে, রাফাহর পূর্বাঞ্চলে ১৪ লাখ মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। সংস্থাটি জনাকীর্ণ শহরে সরাসরি আক্রমণ হলে এলাকাটি বিপর্যয়ের বিষয়ে সতর্ক করেছে।

 

 

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী সোমবার রাফাহর পূর্বাঞ্চলে প্রথমে উচ্ছেদের আদেশ জারি করে জানায়, তারা সেখানে ব্যাপকভাবে স্থল হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এখনো বড় আকারের অভিযানের ঘোষণা না দিলেও ইসরায়েল এই সপ্তাহে আন্তর্জাতিক বিরোধিতাকে অস্বীকার করে এবং ট্যাংক ও সেনা নিয়ে রাফাহতে প্রবেশ করে, মিসরীয় সীমান্তে তার মূল ক্রসিং দখল করে।

 

 

৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের নজিরবিহীন হামলার পর গাজা যুদ্ধ শুরু হয়। ইসরায়েলের সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, সেই হামলায় এক হাজার ১৭০ জনেরও বেশি লোক নিহত হয়, যাদের অধিকাংশই বেসামরিক।

 

 

ইসরায়েলের প্রতিশোধমূলক আক্রমণে গাজায় কমপক্ষে ৩৪ হাজার ৯৭১ জন নিহত হয়েছে, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু রয়েছে।

সূত্র : এএফপি

 

 

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *