ডায়ালসিলেট ডেস্ক :: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নাহিদ নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদারের পর আরও দুই সমন্বয়ককে তুলে নিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ। তারা হলেন সারজিস আলম ও হাসনাত আব্দুল্লাহ।
শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে তাদেরকে তুলে নেওয়া হয়। তবে কোথা থেকে তাদের তুলে নেওয়া হয় তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার জুনায়েদ আলম সরকার বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে জানান, তাদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তার স্বার্থে এবং সাম্প্রতিক ঘটনার ব্যাপারে জানার জন্য তাদেরকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
এর আগে গতকাল বিকেলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিন প্রধান সমন্বয়ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদারকে ঢাকার একটি হাসপাতাল থেকে সাদাপোশাকে তুলে ডিবির হেফাজতে নিয়ে যাওয়া হয় বলে জানিয়েছেন জুনায়েদ আলম সরকার। তিনি বলেন, ‘আমরা গত দুই দিনে ঘটে যাওয়া ঘটনা সম্পর্কে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করব।
এর আগে গত ২০ জুলাই রাতে রাজধানীর সবুজবাগের একটি বাসা থেকে নাহিদ ইসলামকে সাদা পোশাকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তুলে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ ওঠে। পরদিন সকালে সারা শরীরে মারধরের চিহ্ন নিয়ে বাসায় পৌঁছান নাহিদ। পরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। নাহিদ তার ওপর চলা নির্যাতনের বর্ণনা দিয়েছেন।
আসিফ ও বকর দুজনকেই ১৯ জুলাই তুলে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। ফেসবুকে তারা দুজন লেখেন যে তাদের চোখ বেঁধে ২৪ জুলাই হাতিরঝিল ও ধানমন্ডি এলাকায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে কে তাদের তুলে নিয়ে গেছে সে বিষয়ে কেউ উল্লেখ করেননি।
এদিকে একের পর এক শিক্ষার্থীদের নির্যাতনের ফলে সারাদেশে আবারো জনগণ ফুসে উঠেছে।
আগামী ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসুদ। তিনি বলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৫ জন শিক্ষার্থীকে পরিবারের হেফাজতে না দেয়া হলে আরো কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।