প্রকাশিত: ৮:০৭ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ৮, ২০২৪
ডায়ালসিলেট ডেস্ক :: আজ এই মুহূর্ত থেকে হামলা কিংবা নৈরাজ্য বন্ধ করুন। এমনকি কেউ বিএনপির নাম ব্যবহার করে কোনো অপকর্ম করতে চাইলে তাঁকে ধরে আইনের হাতে তুলে দিন। কোনো পুলিশের বিরুদ্ধে কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে যথা নিয়মে অভিযোগ দায়ের করুন বলে।
দলের নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ধর্মীয় পরিচয় এবং বিশ্বাস যা-ই হোক না কেন, তার নিরাপত্তায় ঢাল হিসেবে দাঁড়িয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে।
বুধবার বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে এক জনাকীর্ণ সমাবেশে তারেক রহমান যুক্তরাজ্য থেকে ভার্চ্যুয়ালি ভিডিও কনফারেন্সের বক্তব্যে বিএনপির নেতা-কর্মীসহ দেশবাসীর প্রতি এই আহ্বান জানান প্রধান অতিথির তারেক রহমান।
তারেক রহমান বলেন, শেখ হাসিনা গত ১৫ বছর জনগণের ওপর স্বৈরশাসন চাপিয়ে দিয়েছিলেন, সাড়ে ১২ কোটি ভোটারের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছিলেন। গণহত্যাকারী স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পতনের মধ্য দিয়ে হাজারো শহীদের রক্তে রঞ্জিত বিপ্লবের প্রথম ধাপ সফল হয়েছে মাত্র। ছাত্র–জনতার এই রক্তঝরা বিপ্লবের চূড়ান্ত লক্ষ্য একটি বৈষম্যহীন গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ। দ্রুত সময়ের মধ্যে জাতীয় নির্বাচনের দাবি করেন।এবং জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে।
গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনার পতনের জন্য বীর ছাত্র-জনতাকে অভিনন্দন জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশ আজ কারামুক্ত, আয়নাঘরমুক্ত আজ আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ। উন্মুক্ত হয়েছে গণতন্ত্রের দ্বার। আজ মুক্ত স্বাধীন প্রিয় বাংলাদেশ। সাহসী ছাত্র-জনতাকে বীরোচিত অভিনন্দন। আপনাদের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে গণতন্ত্র হত্যাকারী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। প্রমাণ হয়েছে, মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ কখনো পরাজয় মানে না।
‘১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ, আর ২৪-এর মুক্তি উভয় মুক্তিযুদ্ধে জনগণের বার্তা হচ্ছে শর্ত দিয়ে স্বাধীনতা হয় না। ‘গণহত্যাকারী স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পরে প্রিয় বাংলাদেশের যত মানুষের সঙ্গে আমি কথা বলেছি, প্রতিটি মানুষ অনুভূতি প্রকাশের প্রথম উচ্চারণ ছিল বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। হাজারো শহীদের রক্তে-জীবনের বিনিময়ে ৫ আগস্ট বাংলাদেশের জনগণ আরেকটি বিজয় দেখেছে। এই বিজয়কে কালিমাযুক্ত করার ষড়যন্ত্র আবার শুরু হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেন তারেক রহমান।
তিনি বলেন, গণতন্ত্রে উত্তরণের চলমান প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করতে সারা দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির ষড়যন্ত্র স্পষ্ট হয়ে উঠছে। প্রশাসনের প্রতি আহ্বান, শক্ত হাতে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ করুন। প্রতিটি মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন। ধর্ম-বর্ণের পরিচয়ে কেউ যেন নিরাপত্তাহীনতায় না থাকেন, সবার আগে সেটি নিশ্চিত করতে হবে।
বিএনপির নেতা-কর্মীসহ গণতান্ত্রিক সব দলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, ‘আপনারা যিনি যেখানে বসবাস করেন, সেখানে আপনার বন্ধু কিংবা পাড়া-প্রতিবেশী, তিনি মুসলমান বৌদ্ধ-হিন্দু–খ্রিষ্টান ধর্মীয় পরিচয় যা–ই হোক না কেন, বিশ্বাস যাই হোক না কেন, তার নিরাপত্তায় আপনি ঢাল হিসেবে দাঁড়িয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন। আমাদের মনে রাখতে হবে, বাংলাদেশের ভূখণ্ডে বসবাসকারী প্রত্যেক মানুষের একটি পরিচয়, সেটি হচ্ছে আমরা বাংলাদেশি।
শেখ হাসিনা পালানোর পরে বর্তমানে সুকৌশলে একটি চক্র পুলিশের মনোবল ভেঙে দেওয়ার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। পুলিশকে অকার্যকর করা গেলে দেশকে অস্থিতশীল করা সহজ, ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তাহীনতা সৃষ্টি করা সহজ।
লাখো মানুষের এই সমাবেশে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সভাপতিত্ব করেন। এতে স্থায়ী কমিটির সদস্যরা বক্তব্য দেন।
Address: Kaniz Plaza, Zindabazar, Sylhet
United Kingdom, London Mobile :+447438548379
dialsylhetnews@gmail.com
Design and developed by AshrafTech