বিসিবি‘র সভাপতি হতে পারেন ফারুক আহমেদ বিভিন্ন মহলে গুঞ্জন

প্রকাশিত: ৬:২৮ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ১৯, ২০২৪

বিসিবি‘র সভাপতি হতে পারেন ফারুক আহমেদ বিভিন্ন মহলে গুঞ্জন

ডায়ালসিলেট ডেস্ক :: বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুইয়ার সঙ্গে বিসিবি’র পুনর্গঠন ইস্যুতে আলোচনা হয়েছে জাতীয় দলের সাবেক প্রধান নির্বাচক ফারুক আহমেদের সঙ্গে।

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি হচ্ছেন ফারুক আহমেদ এমন ঘটনার গুঞ্জন উঠেছে ক্রিড়াঙ্গনে।

 

 

 

তবে বিসিবির বোর্ড থেকে তাকে প্রস্তাব করা হয়েছে বিসিবিতে নতুন করে কাজ করার জন্য। তবে জানা গেছে বোর্ড সভাপতি হিসেবে তাকে কোনো প্রস্তাব দেয়া হয়নি। এ বিষয়ে গণমাধ্যমে ফারুক আহমেদ বলেন, ‘হ্যাঁ, আমার সঙ্গে ক্রীড়া উপদেষ্টার আলাপ-আলোচনা হয়েছে। তিনি আমাকে বোর্ডে কাজ করার প্রস্তাব দিয়েছেন। আমিও জানিয়েছি এতে আমার কোনো আপত্তি নেই। তবে সভাপতি হওয়ার বিষয়টি আলোচনা হয়নি। যদি এমন কোনো সুযোগ থাকে বা প্রস্তাব করা হয় তাতে আমার কোনো আপত্তি নেই।

 

 

 

বিসিবিতে আমি আগেও কাজ করেছি। অন্যদিকে গতকাল সচিবালয়ে বিসিবি’র ইস্যুতে দ্রুত পদক্ষেপের কথা জানিয়েছেন ক্রীড়া উপদেষ্টা। তবে সেটি নিয়ম মেনেই করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

এর আগে দুই মেয়াদে বিসিবির প্রধান নির্বাচক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন ফারুক আহমেদ। সবশেষ ছিলেন ২০১৩ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত। দ্বিতীয় মেয়াদে দ্বি-স্তর নির্বাচক প্যানেল ব্যবস্থার বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে পদত্যাগ করেন তিনি। এবার তিনি বিসিবিতে ফিরতে পারেন সভাপতি হয়ে। তবে সেটি কোন প্রক্রিয়ায় তা নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা ও প্রশ্ন।

 

 

সরকার পতনের পর থেকেই বিসিবি সভাপতিসহ বেশ কয়েকজন পরিচালক রয়েছেন আত্মগোপনে। যারা প্রকাশ্যে আছেন তারা সম্প্রতি ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের সঙ্গে দেখা করেছেন।

 

 

 

এরপর থেকে শোনা যাচ্ছে গঠনতন্ত্র মেনে বোর্ড ভেঙে দিয়ে বিসিবি পরিচালনায় গঠন করা হবে অন্তর্বর্তীকালীন একটি কমিটি। যার কাজ চলছে বলেও জানা গেছে। এরই মধ্যে গুঞ্জন রয়েছে বিসিবি সভাপতি পদ থেকে পদত্যাগে সম্মতি জানিয়েছেন নাজমুল হাসান পাপন। তবে এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি।

 

 

তবে শুধু সভাপতি পদ থেকে পদত্যাগ করবেন নাকি পরিচালক পদ থেকেও নিজেকে সরিয়ে নেবেন তা নিয়ে রয়েছে প্রশ্ন।

এছাড়াও এই বোর্ড ভেঙে দিয়ে বিসিবি পরিচালনা করতে পারে একটি অ্যাডহক কমিটি গঠন করারও একটি সম্ভাবনা আছে। কিন্তু সেটি আইসিসি’র নিয়ম না মেনে করতে গেলে পড়তে হতে পারে নিষেধাজ্ঞার মুখে। যে কারণে ফারুক আহমেদ কিভাবে সভাপতি হবেন তা নিয়ে রয়েছে বিস্তর প্রশ্ন। সেটি হতে হলে হয় তাকে কাউন্সিলর, এরপর পরিচালক নির্বাচিত হতে হবে। কিংবা জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ থেকে মনোনীত হয়ে আসতে হবে। এরপর বোর্ডের পরিচালকরা তাকে সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত করবেন।

 

 

সেখানেও তাকে সব পরিচালকদের ভোটে পাশ করতে হবে। আর নয়তো যদি কোনভাবে অ্যাডহক কমিটি হয় সেখানে তিনি দায়িত্ব নিতে পারেন প্রধান হিসেবে। যে কারণে কোন প্রক্রিয়ায় তাকে দায়িত্ব দেয়া হবে বা তাকে কোন পদে আনা হবে তা নিয়ে পরিষ্কার কিছু জানা যায়নি।

 

 

 

তবে বিসিবির পুনর্গঠন নিয়ে ক্রীড়া উপদেষ্টা গতকাল বলেন, ‘এই বিষয় চলমান আছে। কোনও একটা সমাধানে পৌঁছানোর আগে কোনও মন্তব্য করতে চাই না। খুব দ্রুততম সময়ের মধ্যে আপনারা সুসংবাদ পাবেন আশা করি।

 

বিসিবির সভাপতির পদত্যাগের বিষয়টি আমি মিডিয়াতে দেখেছি। কিন্তু অফিসিয়ালি কোনও নিশ্চয়তা কিংবা বক্তব্য আমি পাইনি। আমরা এই বিষয়ে আলোচনা করছি বিভিন্ন স্টেকহোল্ডার, ক্রিকেট সংগঠক ও সাবেক ক্রিকেটারদের সঙ্গে ভালো সমাধানে পৌঁছানোর জন্য।

 

 

 

0Shares