আন্তর্জাতিক ডেস্ক :পশ্চিম তীরে ইসরাইলি সেনাদের হামলায় অন্তত ১১ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। বুধবার ফারা শরণার্থী শিবিরে বিমান হামলায় ৫ ফিলিস্তিনি নিহত হন। অন্যদিকে জেনিনে ইসরাইলের ড্রোন হামলায় বাকি ছয় ব্যক্তি নিহত হন। ইসরাইলি নিরাপত্তা বাহিনীর দাবি, তারা জেনিন এবং তুলকার্ম নামক দুটি এলাকায় ‘সন্ত্রাসবিরোধী’ অভিযান পরিচালনা করেছে। এটি একটি বড় ইসরায়েলি অভিযান বলে মনে হচ্ছে, যেখানে একই সময়ে জেনিন, তুলকারম, নাবলুস এবং তুবাসের মতো চারটি ফিলিস্তিনি শহরকে লক্ষ্যবস্তু করেছে তারা। ২০০০ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত ফিলিস্তিনি অভ্যুত্থান- দ্বিতীয় ইন্তিফাদার পর পশ্চিম তীরের শহরগুলোতে ইসরাইলের এ হামলাই প্রথম বলে ধারণা করা হচ্ছে। প্রায় দুই দশক পর এভাবে বেশ কয়েকটি ফিলিস্তিনি শহরে একযোগে হামলা চালালো ইসরাইল। এই অভিযানের সময় জেনিনের সড়ক বন্ধ করে দেয় তেল আবিবের সেনারা। ফিলিস্তিনি এক সংবাদদাতা জানিয়েছেন, সড়ক অবরোধ করে ইসরাইল জেনিনের শরণার্থী শিবিরে হামলা চালিয়েছে। ইসরাইলের এক আকাশ প্রতিরক্ষা বিভাগের এক কর্মকর্তা জানিয়েছে তারা ওই শহরের একটি গাড়িকে লক্ষ্যবস্তু করে বুধবার ভোরের দিকে হামলা চালিয়েছে।

এছাড়া জেনিন এবং তুলকার্ম শহরের দুটি হাসপাতাল অবরুদ্ধ করেও অভিযান চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনী। এ দিন তারা নাবলুস শহরের দুটি শরণার্থী শিবিরেও অভিযান চালায়। ইসরাইলের ড্রোন হামলার পর এখনও ফারা শরণার্থী শিবিরের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। সেখানে পৌঁছাতে ব্যর্থ হচ্ছে উদ্ধার কাজে নিয়োজিত এম্বুলেন্সগুলো। ইসরাইলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরাইল কাৎজ বলেছেন, গত রাতে জেনিন এবং তুলকার্ম শহরে অভিযান শুরু করেছে ইসরাইল ডিফেন্স ফোর্স (আইডিএফ)। তেল আবিবের দাবি ওই শরণার্থী শিবিরগুলোতে ইরান সমর্থিত ‘সন্ত্রাসী’ গ্রুপের সদস্যরা আত্মগোপন করে আছে।
সূত্র: বিবিসি।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *