লন্ডনে সেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত

প্রকাশিত: ৮:২৮ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ১২, ২০২৪

লন্ডনে সেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস  পালিত

ডায়ালসিলেট ডেস্ক ::  লন্ডনে ৭ নভেম্বর ঐতিহাসিক  জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষ্যে জাতীয়তাবাদী সেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার রাত ৮ঘটিকার সময় পূর্ব লন্ডনের রয়েল বেঙ্গল রেস্টুরেন্ট হলরুমে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্টানে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক (সহ-সভাপতি পদমর্যাদা) ও যুক্তরাজ্য স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি নাসির আহমদ শাহীনের সভাপতিত্বে ও সেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক  জাহাঙ্গীর আলম শিমু’র পরিচালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও যুক্তরাজ্য বিএনপি’র সভাপতি এম এ মালিক।

এতে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও যুক্তরাজ্য বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক কয়ছর এম আহমেদ।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন  সিনিয়র সহ-সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, সহ সভাপতি মুজিবুর রহমান মুজিব, আলহাজ্ব তৈমুছ আলী, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ও জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন ইউরোপের কো-অর্ডিনেটর কামাল উদ্দিন, কোষাধ্যক্ষ সালেহ গজনবী, আসাদুজ্জামান আহমদ সহ সাধারণ সম্পাদক, যুক্তরাজ্য যুবদলের সভাপতি রহিম উদ্দিন, যুক্তরাজ্য যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক দল কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এ জে লিমন, সেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া, যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক বাবর চৌধুরী।

এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন, সাবেক সহ ক্রীড়া সম্পাদক মোঃ সরফরাজ আহমেদ সরফু, মইনুল ইসলাম সোহাগ মুস্তাফিজুর রহমান ফেরদৌস, আতাউর রহমান, মিফতা শুহিদুল ইসলাম স্বপন, রুহুল আলী আকমল, শেখ সাদেক, আলিফ মিয়া, হারুনুর রশিদ, তাজুল আলম কোরেশী রানা,  শাহিন মিয়া,

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন,  ৭ নভেম্বর হচ্ছে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার দিন। এই দিন ১৯৭৫ সালের এইদিনে দেশপ্রেমে বলীয়ান হয়ে সিপাহি-জনতা রাজপথে নেমে এসেছিল জাতীয় স্বাধীনতা সুরক্ষা ও হারানো গণতন্ত্র পুনরুজ্জীবনের অভূতপূর্ব অঙ্গীকার নিয়ে।

এসময় সিপাহি-জনতা ক্যান্টনমেন্টের বন্দিদশা থেকে মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তমকে মুক্ত করে দেশ পরিচালনার দায়িত্বভার দেয়। বাংলাদেশ জাতি এই দিবসটি পালন করে আসছে জাতীয় স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় শপথ গ্রহণ এবং সামরিক বাহিনী ও জনগণের ঐক্যের প্রতীক হিসেবে। এই ইতিহাস বাংলাদেশের গণতন্ত্রের ইতিহাস, বাংলাদেশকে আধুনিক রাষ্ট্রে পরিণত করার ইতিহাস।

বিগত প্রায় ১৫বছরের স্বৈরশাসক আওয়ামীলীগের সভাপতি শেখ হাসিনা ও তার পালিত নেতাদের ধারা  দেশের জনগনের জান-মাল ও দেশের সম্পদ নষ্ট করে এবং দেশের সাধারণ জনগণের টাকা লুটপাট করে  বিদেশে পাচার করে সব নিয়ে গেছে।

দেশের সর্বত্রই ছিল গুম-খুন, হত্যা-লুন্ঠন আর রাহাজানি। আয়না ঘর সৃষ্টি করে বিরোধী দলের নেতাকর্মীসহ সমাজের ভিন্নমতের মানুষের জীবনকে করে তুলেছিল দুর্বিষহ। তবে ছাত্র-জনতার গণবিপ্লবের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিবাদ শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছে । বর্তমানে দেশ ও জাতির জন্য আরেকটি ক্রান্তিকাল চলছে। তাই আমরা সকলে মিলে এই অন্তবর্তী সরকারকে রাষ্ট্রের সংস্কার কাজে সহযোগিতার হাত বাড়াই যাবে সংস্কারের পাশাপাশি একটি সুষ্টু নির্বানের মাধ্যম্যে জনগন তার নির্বাচিত দলকে বেছে নিতে পারে সেই সমাজ আমরা তৈরি করি।

বর্তামানে বাংলাদেশ ফ্যাসিবাদের কবল থেকে মুক্ত হয়েছে কিন্তু ফ্যাসিবাদের দোসরা আজও সর্বত্র ছড়িয়ে রয়েছে। এদেরকেও প্রতিহত করতে হবে। সেজন্য আমাদের সকলের ঐক্যের কোন বিকল্প নেই।

সভার শেষে বক্তারা বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা ও ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান নিহত সকল শহিদের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন।

0Shares

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ