সেনাবাহিনী কতোদিন মাঠে থাকবে এই সিদ্ধান্ত সরকারের

প্রকাশিত: ১:১৪ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৪, ২০২৪

সেনাবাহিনী কতোদিন মাঠে থাকবে এই সিদ্ধান্ত সরকারের

ডায়ালসিলেট ডেস্ক :সেনাসদরের স্টাফ কর্নেল ইন্তেখাব হায়দার বলেছেন, বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা দিতে সেনাবাহিনী কতোদিন মাঠে থাকবে সেটা সরকারের সিদ্ধান্ত। সেনাবাহিনী প্রশাসনকে ৬০ দিন সহায়তা করবে এই তথ্যটি সঠিক নয়। ৬০ দিনের জন্য নির্বাহী ক্ষমতা দেয়ার কথা বলা হয়েছিল। কতোদিন থাকবো এটা সরকারের সিদ্ধান্ত। কারণ সেনাবাহিনী মোতায়েন হয়েছে সরকারের সিদ্ধান্তে, সরকারই এটা নির্ধারণ করবে কতোদিন মোতায়েন থাকা প্রয়োজন। গতকাল সকালে ঢাকা সেনানিবাসে ইন এইড টু সিভিল পাওয়ারের আওতায় মোতায়েন করা সেনাবাহিনীর কার্যক্রম সম্পর্কিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, মানবাধিকার লঙ্ঘন বা বিচারবহির্ভূত হত্যা প্রতিরোধ করার ব্যাপারে সেনাবাহিনী অত্যন্ত সচেতন। এই ব্যাপারে আমাদের সর্বোচ্চ নেতৃত্বের নির্দিষ্ট আদেশ রয়েছে যে, কোনো ধরনের পরিস্থিতিতে যেন আমরা সেনাবাহিনী বিচারবহির্ভূত হত্যা সংঘটিত হতে না দেই, সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে এটা প্রতিরোধ করার। এ ছাড়া আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা রয়েছে এই ধরনের (মানবাধিকার লঙ্ঘন) কোনো ঘটনা ঘটতে যেন না দেই। যে ঘটনাগুলো ঘটছে আপনারা সেগুলো জানতে পারছেন। এর বাইরে আমাদের কার্যক্রমের কারণে কতোগুলো পরিস্থিতিতে এই ধরনের কোনো কিছু প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়েছে, এটা হয়তো অনেক সময় জনসম্মুখে আসে না।

ইন্তেখাব হায়দার বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি নিয়ে আমরা সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করছি। পুলিশের কাছে অপরাধের যে তথ্য থাকে, এটা নিয়ে একটি তুলনামূলক বিশ্লেষণ আমরা করিয়েছি। সে অনুযায়ী, সেনাবাহিনী মোতায়েন হওয়ার পরে বা নির্বাহী ক্ষমতা পাওয়ার পরে আগের তুলনায় অপরাধের সংখ্যা কমেছে। নথিভুক্তি কমেছে। তার মানে পরিস্থিতির অবনতি হয়নি। আমাদের হয়তো প্রত্যাশা অনুযায়ী উন্নতি হয়নি, এটা অনেকে বলতে পারেন। ভবিষ্যতে পরিস্থিতি আরও ভালো হবে। সদস্যরা স্থানীয় প্রশাসনের অনুরোধে প্রত্যন্ত এলাকাসহ সকল দুর্গত এলাকায় স্থানীয় প্রশাসন ও স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গে সম্মিলিতভাবে বিপদগ্রস্ত মানুষদের উদ্ধার, ত্রাণ বিতরণ এবং জরুরি চিকিৎসাসেবা প্রদান করে। এ ছাড়া দুর্গত এলাকায় মোবাইল সংযোগ পুনঃস্থাপনে সহায়তা, মহাসড়কে ট্রাফিক চলমান রাখা, ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ ও সড়ক সংস্কার, এবং বন্যা পরবর্তী পুনর্বাসনেও সেনাবাহিনী সক্রিয় ভূমিকা রাখে, যা এখনো চলমান রয়েছে। এসময় বন্যাদুর্গতদের সাহায্যের জন্য দেশের আপামর জনসাধারণের অংশগ্রহণ ও সহমর্মিতা ছিল সত্যিই দৃষ্টান্তমূলক। পরবর্তীতে অক্টোবর মাসে দেশের মধ্য-উত্তরাঞ্চলের ৪টি জেলা বন্যা আক্রান্ত হলে একইভাবে সেনাবাহিনীর সদস্যরা স্থানীয় প্রশাসনের অনুরোধে উদ্ধার, ত্রাণ বিতরণ এবং জরুরি চিকিৎসাসেবা কাজে অংশগ্রহণ করে। দায়িত্ব পালনের সুবিধার্থে গত ১৭ই সেপ্টেম্বর সশস্ত্র বাহিনীর ক্যাপ্টেন ও তদূর্ধ্ব পদবির অফিসারদের সরকার কর্তৃক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেয়া হয়, যা এখনো চলমান রয়েছে।

0Shares