ডায়ালসিলেট ডেস্ক:সিলেটে থার্টি ফার্স্টের উন্মাদনা ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তরফ থেকে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। চিহ্নিত এলাকাগুলোতে থাকবে চেকপোস্টও। গেল কয়েক বছরের তুলনায় এবার সিলেটে থার্টি ফার্স্টের নানা আয়োজন চলছে। ইতিমধ্যে হোটেল-মোটেলের পক্ষ থেকে থার্টি ফার্স্টের আয়োজনে ডিজে পার্টিসহ নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। সিলেটে ছুটি কাটাতে আসা লন্ডন প্রবাসীদের পক্ষ থেকে আয়োজনের কথা জানা গেছে। পর্যটন এলাকা সিলেট। এবার শীত মৌসুমে সিলেটে অধিক সংখ্যক পর্যটক আসছেন। ফলে এবার থার্টিফার্স্টকে কেন্দ্র করে সিলেটে নানা প্রস্তুতি চলছে।ইতিমধ্যে কয়েকটি হোটেল ও মোটেলের পক্ষ থেকে থার্টিফার্স্টের ডিজে পার্টির ঘোষণা দেয়া হয়েছে। সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত ডিজে আয়োজনই হচ্ছে চমক। আর এসব ডিজে পার্টিতে ঢাকা, সিলেটের ডিজেরা অংশ নেবেন। শহরতলীর তামাবিল সড়কের রেইন অর সাইন রেস্টুরেন্টের পক্ষ থেকে ডিজে পার্টির প্রচারণা চালানো হচ্ছে। এ ছাড়া ওই এলাকায় আরও কয়েকটি মোটেলে একইভাবে ডিজে পার্টি সহ নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন চলছে। শহরতলীর এয়ারপোর্ট রোড। এখানে রয়েছে অত্যাধুনিক হোটেল ও মোটেল। গেল কয়েক বছর আগে সিলেটে বেসামাল ডিজে পার্টি দুর্নাম কুড়িয়েছিল। বেহায়াপনা ও বেলাল্লাপনায় বিতর্কিত হয় সিলেট। আর এ বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে মুখ্য ভূমিকা পালন করেছিলেন সিলেটের ডিজে শিল্পীরা। এবারো সিলেটী নাটকপাড়ার শিল্পীরা ডিজের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা গেছে। এয়ারপোর্টে তারকা হোটেলেও চলছে থার্টিফার্স্টের আয়োজন। বিশেষ করে প্রবাসীদের আয়োজনে এই হোটেলে নানা অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি চলছে। এয়ারপোর্ট এলাকা পাড়ি দিলেই বড়শালা সহ কয়েকটি এলাকায় রয়েছে বাংলোবাড়ি। এসব বাংলোবাড়িতেও ব্যক্তি উদ্যোগে থার্টিফার্স্টের আয়োজন করা হয়ে থাকে। কয়েক বছর বিরতির পর আয়োজনের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় সহ শিক্ষার্থীরা এসব অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে থাকেন। এ ছাড়া সিলেটের জাফলং, বিছনাকান্দি, সাদা পাথর ও জৈন্তাপুরের বিভিন্ন পর্যটন মোটেলে আয়োজনের প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। তবে এ ব্যাপারে পুলিশের পক্ষ থেকে আগে থেকেই নজরদারি শুরু করা হয়েছে।
সিলেট জেলা পুলিশের মিডিয়া কর্মকর্তা ও সহকারী পুলিশ সুপার সম্রাট তালুকদার গতকাল বিকালে জানান, থার্টিফার্স্টে উন্মাদনা ঠেকাতে সিলেট পুলিশ প্রস্তুত রয়েছে। পর্যটন এলাকাগুলোর নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বসানো হবে চেকপোস্টও।
তিনি বলেন, থানা কর্তৃপক্ষকে নিরাপত্তা জোরদার করতে বলা হয়েছে। এ ব্যাপারে থানা থেকে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। এদিকে থার্টিফার্স্ট নাইট উদ্যাপন উপলক্ষে নিয়মিত টহল ও চেকপোস্ট বাড়ানোর পাশাপাশি পুলিশি তৎপরতাও বাড়ানো হবে। উন্মুক্ত কোনো স্থানে আতশবাজি, পটকা ফোটানো ও ফানুস ওড়ানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকবে।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিসি মিডিয়া মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, থার্টিফার্স্ট নাইট উপলক্ষে পুলিশের পক্ষ থেকে বাড়তি নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। উন্মুক্ত কোনো স্থানে আতশবাজি, পটকা ফোটানো ও ফানুস ওড়ানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হবে- এ বিষয়ে শিগগিরই গণবিজ্ঞপ্তি জারি করবো আমরা।