ডায়াল সিলেট ডেস্ক :: ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বরগুনা-১ আসনের সাবেক সংসদ-সদস্য ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু ও তার স্ত্রী মাধবী দেবনাথের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

 

এ ছাড়া জ্ঞাতআয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের সন্দেহে শম্ভুর ছেলে সুনাম দেবনাথ, সুনামের স্ত্রী কাপসিয়া তালুকদার, শম্ভুর মেয়ে শুল্কা দেবনাথ ও মনীষা দেবনাথের সম্পদ বিবরণ দাখিল করতে বলেছে দুদক।

 

বুধবার দুদকের উপপরিচালক মো. আকতারুল ইসলাম এসব তথ্য জানান।

 

জানা গেছে, ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু সরকারের দায়িত্বশীল পদে থেকে অবৈধ উপায়ে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ৫ কোটি ৪১ লাখ ২০ হাজার ১২৫ টাকা মূল্যের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জন করেছেন। নিজ নামে ১৬টি ব্যাংক হিসাবে মোট ৪১ কোটি ৯৩ লাখ ২৫ হাজার ৭০২ টাকার অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক লেনদেন করে ওই টাকা হস্তান্তর, রূপান্তর ও স্থানান্তর করে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।

 

আরেক মামলায় শম্ভু ও তার স্ত্রী মাধবী দেবনাথকে আসামি করা হয়েছে। এজাহারে বলা হয়েছে, মাধবী দেবনাথের বিরুদ্ধে পারস্পরিক যোগসাজশে অসৎ উদ্দেশ্যে নিজ স্বার্থে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য তার স্বামী ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। স্বামীর প্রভাব ও আর্থিক সহায়তায় তিনি অবৈধভাবে ২ কোটি ২ লাখ ৪১ হাজার ৪০৪ টাকার জ্ঞাতআয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। এছাড়া তার নিজ নামে ৭টি ব্যাংক হিসাবে অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনকভাবে মোট ৮ কোটি ৪৫ লাখ ৬১ হাজার ২৭৮ টাকার লেনদেন করেছেন।

 

এদিকে, অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে শম্ভুর ছেলে সুনাম ও তার স্ত্রী কাসপিয়ার সম্পদ বিবরণী তলব করেছে দুদক। বাবার ক্ষমতার অপব্যবহার করে সুনাম ৯৬ লাখ ৫৮ হাজার ৪৪৩ টাকা ও কাসপিয়া ৪৯ লাখ ৮৮ হাজার ৪০০ টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন বলে অভিযোগ আনা হয়েছে। এ ছাড়া শম্ভুর মেয়ে শুক্লার বিরুদ্ধে ৬৮ লাখ ৯১ হাজার টাকা ও মনীষার বিরুদ্ধে জ্ঞাতআয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। তাদের সম্পদ বিবরণীর নোটিশ জারি করেছে দুদক।

 

২৫ আগস্ট শম্ভুর বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। বরগুনা-১ আসন থেকে তিনি পাঁচবার সংসদ-সদস্য নির্বাচিত হন। সংসদ-সদস্য থাকাকালে তিনি জেলার বিভিন্ন উন্নয়ন কাজে অনিয়ম-দুর্নীতি আর কমিশন বাণিজ্যের মাধ্যমে শতকোটি টাকার মালিক হয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

 

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *