গাজার ৮২৮টি মসজিদ সম্পূর্ণ ধ্বংস মসজিদে আজান বন্ধের নির্দেশ ইসরাইলের

প্রকাশিত: ১১:০২ অপরাহ্ণ, জুন ৩, ২০২৫

 

 

 

ডায়াল সিলেট ডেস্ক :: ইসরাইলের মসজিদে মাইকে আজান দেওয়া বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন-গাভির। আজান দেওয়াকে ‘শব্দদূষণ’ আখ্যা দিয়ে পুলিশ প্রশাসনকে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশও দেন তিনি। রোববার ইসরাইলি সংবাদমাধ্যম হারেৎজ জানিয়েছে, সম্প্রতি এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে জেলা পুলিশ কমান্ডারদের উদ্দেশে বেন-গাভির বলেছেন, ‘আমি তোমাদের নিয়োগ দিয়েছি আমার নীতি বাস্তবায়নের জন্য।’

 

এর আগে ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে বেন-গাভির ঘোষণা করেন, মসজিদগুলো আর মাইকে আজান দিতে পারবে না। ওই সময় থেকেই একটি বিতর্কিত নীতি চালু করা হয় দেশটিতে। যার আওতায় পুলিশ চাইলেই মসজিদে প্রবেশ করে আজান সম্প্রচারে ব্যবহৃত লাউডস্পিকারগুলো জব্দ করতে পারবে। বৈঠকে বেন-গাভির ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, অনেক পুলিশ কর্মকর্তা তার নির্দেশনা যথাযথভাবে পালন করছেন না। এমনকি জরিমানা আরোপেও গাফিলতি করছেন। তবে তিনি কেন্দ্রীয় জেলার পুলিশ কমান্ডারের প্রশংসা করেছেন। যিনি এ সময়ের মধ্যে মসজিদগুলোর বিরুদ্ধে ভারী জরিমানা আরোপের পদক্ষেপ নিয়েছেন।

 

এদিকে কয়েকজন জেলা পুলিশ কর্মকর্তা সতর্ক করে বলেছেন, এই ধরনের চাপ প্রয়োগ আরব ও মিশ্র জনগোষ্ঠীর মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ সৃষ্টি করতে পারে এবং এতে সংঘর্ষের আশঙ্কাও রয়েছে। বেন-গাভিরের এ নির্দেশনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এ পদক্ষেপকে মুসলমানদের অনুভূতির প্রতি চরম অবমাননা এবং ধর্মীয় অধিকারের ওপর প্রকাশ্য আগ্রাসন হিসাবে আখ্যা দিয়েছেন তারা। হামাহ বলেছে, ইসরাইলি সরকার ও নিরাপত্তা বাহিনী ফিলিস্তিনিদের এবং তাদের ধর্মীয় স্থাপনাগুলোর বিরুদ্ধে একের পর এক আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে। এ ধরনের হামলা ও দমন-পীড়ন জনগণের ক্ষোভ বাড়াবে এবং নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি করবে বলেও জানিয়েছে তারা।

 

এরই মধ্যে গাজার দেইর আল-বালাহ অঞ্চলের আনসার মসজিদ ধ্বংস করেছে ইসরাইল। সোমবার দুপুরে চালানো এক বিমান হামলায় এই ঐতিহাসিক মসজিদটির প্রায় সব দেওয়াল ধসে পড়ে এবং প্রধান গম্বুজ ও স্তম্ভগুলো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। হামলায় মসজিদসংলগ্ন কবরস্থানেও বড় ধরনের ক্ষতি হয়েছে।

 

ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ২০২৩ সালের অক্টোবরে হামলা শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত কমপক্ষে ৮২৮টি মসজিদ সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়েছে এবং আরও ১৬৭টি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া তিনটি গির্জা ও ৬০টির মধ্যে ১৯টি কবরস্থান পুরোপুরি বা আংশিক ধ্বংস করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত যুদ্ধবিরতির আন্তর্জাতিক আহ্বান প্রত্যাখ্যান করে যাচ্ছে ইসরাইল।

 

 

0Shares