প্রকাশিত: ৫:৫৩ পূর্বাহ্ণ, জুন ২৮, ২০২৫
সোহেল আহমদ :: বাংলাদেশে গণ-অভ্যুত্থানের প্রায় এক বছর হয়ে গেছে। বাংলাদেশের সাবেক স্বৈরশাসক শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করেছে। মাত্র কয়েক সপ্তাহের সেই অভ্যুত্থানে এক হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারান, আহত হন। ফলে ২০২৪ সালের ৫ই আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পরেই অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নেন শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
এ অভ্যুত্থানে রাজনৈতিক, সামাজিক, দিনমজুর থেকে শুরু করে বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ আন্দোলনে অংশগ্রহন করে একটি নতুন বাংলাদেশ গড়ে তোলার স্বপ্ন বুনেছেন।
কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকারের ১১ মাস পার হলেও পরিস্থিতি এখনো উত্তপ্ত। রাজনৈতিক বিক্ষোভ চলছেই। অনেক রাজনীতিবিদ প্রতিপক্ষের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে পড়ছে। তারা সমঝোতার পথে হাঁটতে অনিচ্ছুক। অন্যদিকে, শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লীগ বর্তমানে নিষিদ্ধ থাকলেও বিভিন্ন প্রশাসনিক বিভাগে রয়েছে তাদের শক্ত অবস্থান।
এদিকে, মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, তার পরিকল্পনা সঠিক পথেই আছে। সম্প্রতি দ্য ইকোনমিস্টকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, বাংলাদেশিরা যে গভীর সংস্কারের প্রত্যাশা করছে, তা বাস্তবায়নে সময় লাগবে। তবে অন্তত অর্থনীতির ক্ষেত্রে তার সরকারের পক্ষে ভালো খবর রয়েছে।
জানা যায় বিগত সরকারের আমলে বিদেশে পাচার হওয়া বিপুল অঙ্কের অর্থ উদ্ধারে তৎপরতা শুরু হলেও এখনও উদ্ধার করা যায়নি। এর মধ্যে যুক্তরাজ্যে বিপুল সংখ্যক অর্থ পাচার হলেও ধরা ছোয়ার বাইরে আওয়ামীলীগের অনেক শীর্ষ নেতারা। আবার অনেক নেতাদের দেখা যায় দেশ ও বিদেশে আওয়ামীলীগ দল পাল্টে এনসিপি, বিএনপি, বাংলাদেশ ইসলামী ঐক্যজোট, উলামা দলসহ বেশ কয়েকটি দলে যোগ দিচ্ছেন। নিজেদের আখের গোছাতে।
অন্যদিকে, প্রশ্ন উঠেছে, ১৭ কোটি ৪০ লাখ মানুষের এই দেশে কত দ্রুত দেশে গণতন্ত্র ফিরে আসবে এবং সেই অর্জন কতোদিন স্থায়ী হবে।এ ব্যাপারে ড. মুহাম্মদ ইউনূস ইঙ্গিত দিয়েছেন ২০২৬ এর ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিলের মধ্যে নির্বাচন হতে পারে। তার আগে তিনি চান রাজনীতিবিদরা ‘জুলাই সনদে’ স্বাক্ষর করবেন; যা নির্বাচনের মূলনীতি নির্ধারণ করবে এবং জয়ী দলের প্রয়োজনীয় সংস্কারের তালিকা ঠিক করবে। তবে রাজনীতিবিদরা ঠিক কোন শর্ত এই সনদে যুক্ত করতে রাজি হবে তা এখনো অস্পষ্ট।
নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য নিবন্ধিত দলের সংখ্যা প্রায় ১৫০টি। যা আগের চেয়ে দ্বিগুণেরও বেশি। নতুন দলগুলোর মধ্যে রয়েছে ন্যাশনাল সিটিজেন পার্টি (এনসিপি)। এটি ছাত্র নেতৃত্বাধীন দল। তবে সমস্যা হলো, এসব ছোট দলগুলো সম্ভবত খুব ভালো ফল করতে পারবে না।
একটি জরিপে দেখা গেছে, যারা ইতিমধ্যে ভোট দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাদের মধ্যে অনেক ভালো অবস্থানে আছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) যা ভোটারদের ৪২ শতাংশ সমর্থন পাচ্ছে। ইসলামী দল জামায়াতে ইসলামী ৩২ শতাংশ সমর্থন পেয়েছে। মাত্র ৫ শতাংশ এনসিপিকে ভোট দেবে। আওয়ামী লীগ এবার নির্বাচনে অংশ নেবে না।
Address: Kaniz Plaza, Zindabazar, Sylhet
United Kingdom, London Mobile :+447438548379
dialsylhetnews@gmail.com
Design and developed by AshrafTech