ডায়াল সিলেট ডেকস
কুমিল্লার দাউদকান্দিতে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে২৩ মামলার আসামি মামুন সম্রাট (৪৩) নামের এক ব্যক্তিকে । গতকাল শুক্রবার রাত ১১টার দিকে উপজেলার গৌরীপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে এ ঘটনাটি ঘটে।
নিহত মামুন কুমিল্লার তিতাস উপজেলার শোলাকান্দি গ্রামের মোশাররফ হোসেন ওরফে মকবুল মেম্বারের ছেলে। তিনি গৌরীপুর বাজার এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন।
ঘটনার পর দাউদকান্দি মডেল থানা, দাউদকান্দি হাইওয়ে থানা ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে যান। পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
দাউদকান্দি হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রাশেদ খান চৌধুরী বলেন, শুক্রবার রাতে মামুন সম্রাট চারজন নারীসহ কক্সবাজারের উদ্দেশে রওনা দেন। ঢাকার যাত্রাবাড়ী থেকে রিল্যাক্স পরিবহনের একটি বাসে নিজের টিকিট ছাড়া ওঠেন তিনি। বাসটি রাত ১১টার দিকে গৌরীপুর বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছালে তিনি ১ হাজার ৮০০ টাকা দিয়ে কাউন্টার থেকে টিকিট কেটে পাশের দোকান থেকে এক বোতল পানি কেনেন। বাসে ওঠার সময়ই ওত পেতে থাকা কয়েকজন দুর্বৃত্ত পেছন দিক থেকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁর মাথা ও ঘাড়ে কুপিয়ে পালিয়ে যায়।
দাউদকান্দি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুনায়েত চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, নিহত মামুন সম্রাটের বিরুদ্ধে হত্যা, মাদক, অপহরণসহ ২৩টি মামলা আছে। অনেকবার জেল খেটেছেন তিনি। তাঁর লাশ আজ শনিবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মামুনের মা-বাবা থানায় এসেছেন, হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে। হত্যার কারণ জানার জন্য বাস কাউন্টারের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তাঁর মাথা ও ঘাড়ে ধারালো অস্ত্রের আঘাত আছে। এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে ধারণা করা হচ্ছে। দ্রুতই হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন করা যাবে বলে আশা করেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, মামুন সম্রাট গৌরীপুর এলাকায় মাদক, চাঁদাবাজি এবং কিশোর গ্যাংয়ের নেতৃত্ব দিতেন। এসব কারণে তাঁর ওপর হামলা হতে পারে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, গত ১৩ মে রাতে গৌরীপুর বাজার এলাকার একটি ভাড়া বাসায় অভিযান চালিয়ে মামুন সম্রাটকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই সময় তাঁর কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ মাদক ও দেশি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। পরে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়। জামিনে মুক্তি পেয়ে তিনি আবার এলাকায় ফিরে আসেন।