ডায়াল সিলেট ডেকস

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, গাজায়  অনাহারে নেই কেউ। তিনি দাবি করেন, ‘গাজায় অনাহারে রাখার কোনো নীতি (আমাদের) নেই এবং গাজায় কেউ না খেয়েও নেই। যুদ্ধ চলার পুরো সময় আমরা সেখানে মানবিক সহায়তা প্রবেশ করতে দিয়েছি। না হলে গাজায় এখন কোনো মানুষই থাকত না।’

তবে গাজায় কেউ অনাহারে না থাকার নেতানিয়াহুর এ দাবির সঙ্গে একমত হননি তাঁর ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। উপত্যকাটির অস্থিচর্মসার মানুষের যেসব ছবি প্রকাশ পাচ্ছে সেগুলোর কথা উল্লেখ করে গতকাল সোমবার তিনি বলেন, ‘ওই শিশুদের খুবই ক্ষুধার্ত দেখাচ্ছে।’

আন্তর্জাতিক চাপের মুখে গাজায় ফিলিস্তিনিদের জন্য ত্রাণসহায়তা প্রবেশের সুযোগ করে দিতে ইসরায়েল এ সপ্তাহান্তে সেখানে মানবিক বিরতি ঘোষণা করেছে। আকাশ থেকে ত্রাণ ফেলা ও অন্যান্য উদ্যোগের ঘোষণাও এসেছে।

কিন্তু বাস্তবে সেখানে পরিস্থিতির খুবই সামান্য বা একেবারেই পরিবর্তন হয়নি বলে জানাচ্ছেন গাজার বাসিন্দারা।

জাতিসংঘ বলেছে, ত্রাণসহায়তা বৃদ্ধির এ উদ্যোগ এক সপ্তাহ ধরে চলবে । তবে ইসরায়েল এখনো তাদের এ ব্যবস্থা কত দিন জারি থাকবে সে বিষয়ে কিছু জানায়নি ।

ইসরায়েল আকাশ থেকে গাজায় ত্রাণ ফেলেছে—এমন একটি স্থানে উপস্থিত ছিলেন হাসান আল-জালান । তিনি বলেন, ‘এভাবে ত্রাণ দেওয়া ফিলিস্তিনি জনগণের জন্য অবমাননাকর ।’ যেখানে ত্রাণ ফেলা হচ্ছে সেখানে মানুষ ত্রাণের জন্য লড়াই করছে। ওপর থেকে ছোলাভর্তি ক্যানগুলো মাটিতে পড়ে ভেঙে ভেতরের সব ছড়িয়ে–ছিটিয়ে যাচ্ছে বলেও জানান তিনি ।

ইসরায়েলের দাবি, হামাসের কারণে গাজায় ফিলিস্তিনিদের কাছে ত্রাণ পৌঁছাচ্ছে না। তাদের অভিযোগ, হামাস সদস্যরা ত্রাণ লুট করে নিজেদের কাছে নিয়ে নিচ্ছেন এবং গাজায় নিজেদের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে সেগুলো ব্যবহার করছেন।

অবশ্য বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা ইসরায়েলের এ দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে। জাতিসংঘও গাজায় পরিকল্পিতভাবে ত্রাণ লুট হওয়ার ইসরায়েলি অভিযোগ অস্বীকার করেছে। বরং জাতিসংঘ বলেছে, গাজায় যথেষ্ট পরিমাণে ত্রাণ প্রবেশ করতে দিলে লুটপাট কমে যাবে বা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাবে।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *