ডায়াল সিলেট ডেস্ক :: প্রায় দেড় দশক পর ফের বৃটেনে পরমাণু মিসাইল মোতায়েন করেছে আমেরিকা। জানা যাচ্ছে, গত ১৬ জুলাই মার্কিন বায়ুসেনা বিমানে নিউ মেক্সিকোর কির্টল্যান্ড বায়ুসেনা ঘাঁটি থেকে উড়িয়ে বৃটেনের শহর লেকেনহিথে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, এর মাধ্যমে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ওয়াশিংটন বার্তা দিল যে এখনও ইউরোপীয় নিরাপত্তা রক্ষায় দায়বদ্ধ তারা।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প এখন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের উপর বেজায় ক্ষিপ্ত। কয়েকদিন আগেই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে তিনি বলেন, “অস্ত্র দিলে মস্কোতে বোমা ফেলতে পারবে?” তখন থেকেই প্রশ্ন উঠেছে, এবার কি ‘পুতিন-নীতি’ বদলে ফেলছেন তিনি? দ্বিতীয়বার আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পরই রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে অতি তৎপর হন ট্রাম্প।
প্রতিবারই পুতিনের তরফে সদর্থক বার্তা দেওয়া হলেও যুদ্ধবিরতির পথে তিনি আসেননি। বরং দিন দিন হামলার ঝাঁজ আরও বাড়িয়েছে মস্কো। ফলে এখন জেলেনস্কির সঙ্গে তিক্ততা কাটিয়ে ফের ইউক্রেনের ঢাল হয়ে দাঁড়াচ্ছে আমেরিকা। এবার বৃটেনে পারমাণবিক অস্ত্র পাঠিয়েও তারা রাশিয়াকে বড় বার্তা দিল বলেই মনে করছে অভিজ্ঞ মহল। নিউ মেক্সিকোর আলবুকার্কের কির্টল্যান্ড বিমান ঘাঁটিকে মার্কিন বিমান বাহিনীর পারমাণবিক অভিযানের কেন্দ্র বলা হয়। এটি বিশ্বের বৃহত্তম পারমাণবিক অস্ত্র সংরক্ষণ কেন্দ্র। মার্কিন পারমাণবিক অস্ত্রাগারের একটি বড় অংশ এখানে রাখা হয়।
এবার সেখান থেকেই উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে পরমাণু মিসাইল। নতুন বি৬১-১২ থার্মোনিউক্লিয়ার বম্ব সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে দাবি। যা হিরোশিমায় নিক্ষিপ্ত বোমা থেকে তিন গুণ বেশি শক্তিশালী। এই ধরনের বড় সিদ্ধান্ত মার্কিন প্রেসিডেন্টই নেন। তাই পুরো বিষয়টিকে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
সূত্র : এনডিটিভি