ডায়াল সিলেট ডেকস

সিলেট নগরীর এয়ারপোর্ট থানাধীন এলাকায় ছিনতাইয়ের ঘটনায় ব্যবহৃত একটি প্রাইভেটকারসহ দুই ছিনতাইকারীকে আটক করেছে পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে ছিনতাইকৃত একটি মোবাইল ফোন এবং নগদ অর্থ।

ঘটনাটি ঘটেমঙ্গলবার (২৯ জুলাই) রাত আনুমানিক ৯টার দিকে ঘটেছে ।  ছিনতাইয়ের শিকার হন কামাল হোসেন, পিতা মৃত আব্দুল মান্নান, মাতা আফিয়া বেগম, গ্রামের বাড়ি সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মনোহরপুর। তিনি সিলেট নগরীর জিন্দাবাজারের প্যারিস রেস্ট হাউজ হোটেলের একজন কর্মচারী হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসছেন। প্রতিদিনের মতো তিনি সেদিনও রাত ৯টার দিকে কাজ শেষে বাসায় ফেরার পথে পূর্বপরিচিত তামিম নামে এক যুবকের ফাঁদে পড়েন। বেড়ানোর প্রলোভন দেখিয়ে প্রথমে তাকে মোটরসাইকেলে তুলে নেয় তামিম এবং পরে হাউজিং এস্টেটের ৮ নম্বর লেন এলাকা থেকে একটি প্রাইভেটকারে তুলে নেয়। ওই গাড়িতে আগে থেকেই আরও চারজন অবস্থান করছিল।

প্রাইভেটকারে করে কামাল হোসেনকে সালুটিকর ব্রিজের দক্ষিণ পাশে নিয়ে গিয়ে তাকে কিল-ঘুষি, চড়-থাপ্পড় ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে তার কাছে থাকা একটি মোবাইল ফোন (মডেল: VIVO 30, আনুমানিক মূল্য ৫০ হাজার টাকা) এবং নগদ ৩ হাজার ৮০০ টাকা ছিনিয়ে নেয় ছিনতাইকারীরা। এরপর তাকে অজ্ঞাত স্থানে ফেলে দেওয়ার জন্য গাড়ি নিয়ে বাইপাস হয়ে বাইশটিলা এলাকার দিকে রওনা হয়। বাইশটিলা বাজারে উপস্থিত জনতা দেখে কামাল হোসেন চিৎকার করলে জনতা গাড়িটিকে ধাওয়া করে। একপর্যায়ে গ্র্যান্ড সিলেট হোটেলের সামনে পৌঁছালে কামাল হোসেন কৌশলে গাড়ির জানালা দিয়ে লাফিয়ে পড়ে রক্ষা পান।

পরে স্থানীয়দের সহায়তায় খবর পেয়ে এয়ারপোর্ট থানা পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে ঘটনাস্থল থেকে ছিনতাইয়ে ব্যবহৃত প্রাইভেটকারসহ দুইজন ছিনতাইকারীকে আটক করে। আটককৃতদের একজনের নাম সাইফুল ইসলাম, পিতা আব্দুল হক, স্থায়ী ঠিকানা সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর থানার রানীগঞ্জ এলাকা। বর্তমানে তিনি সিলেটের শাহপরাণ থানাধীন সেনপাড়া, শিবগঞ্জ এলাকার পুস্পা-১১২ নামক বাসায় বসবাস করতেন। অপর আসামি লিমন আহমদ জয়, পিতা জাহাঙ্গীর আলম, স্থায়ী ঠিকানা কোম্পানীগঞ্জ থানার গৌরীনগর গ্রামে। তিনি বর্তমানে সিলেটের এয়ারপোর্ট থানাধীন সুবিদবাজার এলাকার প্রান্তি-২৪ নামক বাসায় বসবাস করতেন।

ঘটনার পরপরই এয়ারপোর্ট থানায় একটি মামলা করা হয় (মামলা নম্বর-২০, তারিখ ৩০ জুলাই ২০২৫, ধারা ৩৯৪, দণ্ডবিধি ১৮৬০)। মামলার তদন্ত কার্যক্রম দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে।

এ প্রসঙ্গে এয়ারপোর্ট থানার অভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) সৈয়দ আনিসুর রহমান জানান, ভুক্তভোগীর চিৎকার এবং স্থানীয়দের সহায়তায় পুলিশ তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নিয়ে প্রাইভেটকারসহ দুই ছিনতাইকারীকে আটক করতে সক্ষম হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ছিনতাইয়ের কথা স্বীকার করেছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়েছে। মামলার বাকি পলাতক আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

 

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *