ডায়াল সিলেট ডেস্ক :: পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের পাকিস্তান তেহরিকে ইনসাফ পার্টির (পিটিআই) ১০৮ জন নেতাকর্মীকে কারাদণ্ড দিয়েছে দেশটির একটি সন্ত্রাসবিরোধী আদালত। ২০২৩ সালের মে মাসে সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে সহিংস বিক্ষোভে অংশগ্রহণের অভিযোগে এই সাজা দেয়া হয়েছে। এদের মধ্যে অন্যতম হলেন বিরোধীদলীয় নেতা ও সাবেক মন্ত্রী ওমর আইয়ুব খান, যাকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।
এতে বলা হয়, ২০২৩ সালের ৯ই মে দুর্নীতির মামলায় আদালতে হাজিরা দিতে গিয়ে গ্রেপ্তার হন ইমরান খান। সে সময় দেশ জুড়ে সহিংস বিক্ষোভ শুরু হয়। আন্দোলনের সময় সরকারি ও সামরিক স্থাপনায় হামলার ঘটনা ঘটে। ফলে অন্তত ১০ জন নিহত হন এবং পিটিআইয়ের হাজার হাজার নেতাকর্মীকে আটক করা হয়।
এরই ধারাবাহিকতায়, বৃহস্পতিবার ঘোষিত এই রায়কে পিটিআই গণতন্ত্রের জন্য কালো দিন বলে আখ্যা দিয়েছে। দলটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, পাকিস্তানের বিচার বিভাগের ইতিহাসে এটাই প্রথম, যেখানে শুধুমাত্র রাজনৈতিক মতাদর্শ ও সাংবিধানিক সংগ্রামের জন্য সংসদের উভয় কক্ষের বিরোধী নেতাদের শাস্তি দেয়া হলো। পিটিআইয়ের মিডিয়া উপদেষ্টা জুলফি বুকারি এএফপিকে বলেন, একজনের পর একজন বিরোধী নেতাকে দণ্ডিত করা কোনো সুস্থ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার ইঙ্গিত দেয় না; বরং এটি আমাদের ভঙ্গুর গণতন্ত্রকে আরও বিপন্ন করে তোলে।
বর্তমানে কারাবন্দি ইমরান খান এখনো পাকিস্তানের অন্যতম জনপ্রিয় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে বিবেচিত। তার বিরুদ্ধে এখনো ১৫০টির বেশি মামলা চলছে, যার মধ্যে সন্ত্রাসবাদ, রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা ফাঁসসহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে। তবে তিনি এবং তার সমর্থকরা বরাবরই এই অভিযোগগুলোকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করে আসছেন। ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে পিটিআই-সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা সবচেয়ে বেশি আসনে জয়ী হলেও, তাদের সরকার গঠনের সুযোগ দেয়া হয়নি, যা নিয়ে দেশ জুড়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। পিটিআই জানিয়েছে, তারা এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবে।