ডায়াল সিলেট ডেকস
সাভারে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সেই সময় পুলিশের সাঁজোয়া যান (এপিসি) থেকে শিক্ষার্থী শাইখ আস-হাবুল ইয়ামিনকে ফেলে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মোহাম্মদ আলীকে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রোববার (৩ আগস্ট) বিকেলে গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানান সাভার সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহীনুর কবির।
তিনি জানান, পুলিশের উচ্চপর্যায়ের নির্দেশে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থানার মুরাপাড়া এলাকায় ভোর ৬টার দিকে বিশেষ অভিযান চালিয়ে পলাতক এএসআই মোহাম্মদ আলীকে গ্রেপ্তার করা হয় । পরে তাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার কো-অর্ডিনেটরের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে, মোহাম্মদ আলীর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের একটি মামলায় দীর্ঘদিন ধরে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি ছিল।
২০২৪ সালের ১৮ জুলাই সাভারে শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনতার আন্দোলনের সময় এমআইএসটি (মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি)-এর চতুর্থ বর্ষের ছাত্র শাইখ আস-হাবুল ইয়ামিনকে পুলিশের একটি সাঁজোয়া যান থেকে টেনে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়, যেখানে স্পষ্টভাবে দেখা যায়-একজন শিক্ষার্থীকে পুলিশের এপিসি থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়া হচ্ছে।
গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। ইয়ামিন এমআইএসটির কম্পিউটারবিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের ছাত্র ছিলেন এবং ওসমানী হলে আবাসিকভাবে থাকতেন। তার পরিবারের স্থায়ী ঠিকানা সাভারের ব্যাংক টাউন এলাকায়।
ঘটনার পর তার মৃত্যুকে ঘিরে ব্যাপক আন্দোলন, শোক ও ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে দেশজুড়ে । ইয়ামিনের সহপাঠী, শিক্ষক এবং পরিবার দীর্ঘদিন ধরে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যের বিচারের দাবিতে সোচ্চার ছিলেন। এ ঘটনায় মোহাম্মদ আলীর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।
অবশেষে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যের গ্রেপ্তারে স্বজন ও সহপাঠীদের মাঝে কিছুটা স্বস্তি ফিরে এসেছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন রয়েছে।