ডায়াল সিলেট ডেকস

সিলেটের ওসমানীনগরের কিশোর রবিউল ইসলাম নাঈম ২৬ জুলাই নিখোঁজ হয়। রোববার মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার বরমচাল এলাকার রেলস্টেশনের পার্শ্ববর্তী ডোবা তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) সন্তানের হত্যাকারীর ফাঁসির দাবিতে রবিউল ইসলাম নাঈমের লাশ নিয়ে সিলেট-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করেন মা পারুল বেগম (৫৫) ও তাদের স্বজন এবং এলাকাবাসী।

বিকাল সাড়ে ৫টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত প্রায় দেড় ঘণ্টা ওসমানীনগর থানার সামনে এলাকার শত শত মানুষ সহ নিহত রবিউলের পরিবারের সদস্য ও স্বজনরা হত্যাকারীর ফাঁসি ও মামলা দায়েরের দাবিতে সিলেট-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করেন। এ সময় সিলেট-ঢাকা মহাসড়কে দেড় ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে। ওসমানীনগর থানার সামনের দুই দিকে মহাসড়কে শত শত যাত্রীবাহী যানবাহন আটকা পরে এতে চরম দুর্ভোগে পড়েন দূরপাল্লার শত শত যাত্রী সাধারণ।

বিষয়টি আইনানুগভাবে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাসে প্রশাসন ও স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপে সন্ধ্যা ৭টার দিকে অবরোধ তুলে নেন তারা।

এ ঘটনায় অভিযুক্ত রেস্টুরেন্ট মালিক বুলবুলকে ওসমানীনগর তানা পুলিশ হেফাজতে নিয়েছে বলে ওসমানীনগর থানার ওসি মো. মোনায়েম মিয়া নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার গোয়ালাবাজার ইউপির গদিয়াচর গ্রামের কনাই মিয়া ও পারুল বেগমের দ্বিতীয় ছেলে কিশোর রবিউল ইসলাম নাঈম উপজেলার সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের ব্রাহ্মণগ্রাম সুপ্রিম ফিলিং স্টেশন মার্কেটে বগুড়া রেস্টুরেন্টে নাইট শিফটে কাজ করত। গত ২৬ জুলাই রেস্টুরেন্ট থেকে নিখোঁজ হয় রবিউল। রবিউলের স্বজনরা সম্ভাব্য সকল স্থানে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে ওসমানীনগর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। গত ৩ আগস্ট মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার বরমচাল এলাকার রেলস্টেশনের পার্শ্ববর্তী ডোবা থেকে অজ্ঞাতনামা এক কিশোরের লাশ উদ্ধার করে কুলাউড়া থানা পুলিশ। খবর পেয়ে রবিউলের পরিবার ও ওসমানীনগর থানা পুলিশ কুলাউড়ায় উদ্ধার হওয়া অজ্ঞাতনামা লাশটি নিখোঁজ রবিউলের বলে সনাক্ত করেন তার স্বজনরা।

রবিউলের পরিবারের দাবি রেস্টুরেন্ট মালিক বুলবুল মিয়া হত্যা করে রবিউলের লাশ কুলাউড়ায় ফেলে আসে।

নিহত রবিউলের বড় ভাই কাইয়ুম বলেন, আমার ভাইকে বুলবুল খুন করেছে। আমরা বুলবুলের ফাঁসি চাই।

ওসমানীনগর থানার ওসি মো. মোনায়েম মিয়া বলেন, বুলবুলকে আসামি করে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। অভিযুক্ত রেস্টুরেন্ট মালিক বুলবুল পুলিশের হেফাজতে রয়েছে।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *