ডায়াল সিলেট ডেকস

প্রাকৃতিক পরিবেশ থেকে রাতের আঁধারে মানুষের গৃহ সীমানায় প্রবেশ করেছিল একটি বিষধর প্রজাতির পদ্মগোখরা। পরে সেটিকে উদ্ধার করে পুনরায় বনের পরিবেশে অবমুক্ত করা হয়।

আর এই পুরো কাজটি সম্পন্ন করেন মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলায় অবস্থিত বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনের পরিচালক স্বপন দেব সজল।

তিনি বলেন, বুধবার (৬ আগস্ট) রাতে শ্রীমঙ্গল উপজেলার পূর্বাশা আবাসিক এলাকার সিদ্দিকুর রহমানের বাড়ির গৃহকোণে একটি বিষধর পদ্মগোখরা সাপ প্রবেশ করে। এটি দেখে লোকজন আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এবং তারা আমাকে খবর দেয়। আমি সেটিকে উদ্ধার করে বনবিভাগ কর্তৃপক্ষের উপস্থিতিতে প্রাকৃতিক পরিবেশে অবমুক্ত করি দেই।

তিনি আরো বলেন, এই উদ্ধার কার্যক্রমের সময় আমার সঙ্গে ছিলেন পরিবেশকর্মী রাজদীপ দেব দীপ। যতদ্রুত সম্ভব আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে এ সাপটিকে অত্যন্ত সতর্কতার সাথে উদ্ধার করতে সক্ষম হই।

‘জনসচেতনতা’ প্রসঙ্গে স্বপন দেব সজল বলেন, সাপ আমাদের প্রকৃতির খাদ্যশৃঙ্খল রক্ষায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই সাপ কখনো মারবেন না। সে সাপ ‘বিষধর’ কিংবা ‘নির্বিষ’ যা-ই হোক না কেন। বর্ষা মৌসুমে যদি সাপ ঘরে প্রবেশ করে নিজেরা যত দ্রুত সম্ভব সে ঘর থেকে বের হয়ে নিরাপদে থেকে আমাদের মতো স্থানীয় বন্যপ্রাণী উদ্ধারকারীদের খবর দিন। আমরাই পরিবেশের উপকারী এই প্রাণীটিকে নিরাপদে সরিয়ে দিতে পারবো। তাই আবারও বলছি, সাপ মারবেন না।

বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী সূত্রে জানা যায়, পদ্মগোখরার ইংরেজি নাম Monocled Cobra।  এ সাপের আরেকটি প্রচলিত নাম ‘কেউটে সাপ’। এই সাপ রেগে গেলে মুহূর্তে ফণা তুলতে পারে। তখন ফণার ঠিক পেছনে একচোখা চশমার মতো গোল দাগ সহজে দেখা যায়। বাংলাদেশের বন্যপ্রাণী আইনের (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) তফসিল অনুযায়ী এই প্রজাতিটি সংরক্ষিত।   আইইউসিএন, বাংলাদেশের গবেষণায় পদ্মগোখরা ‘সংকটাপন্ন’ প্রজাতির প্রাণী হিসেবে তালিকাভুক্ত।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *