ডায়াল সিলেট ডেসক

সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার ( ৭ আগস্ট)  সিলেট বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার (DSA) আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো ‘মিট অ্যান্ড গ্রিট’ সভা। এতে অংশগ্রহণ করেন সিলেটের বিভিন্ন পর্যায়ের কোচ ও তাদের প্রতিনিধিগণ।

সভায় সিলেট বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন, ব্যারিস্টার নুরুল হুদা জুনেদ, সাবেক ক্রিকেটার ও ক্রীড়া কমিটির অন্যতম সদস্য রাহাত সামস, ক্রিড়া সংগঠক ও বিভাগীয় কমিটির অন্যতম সদস্য মোকাম্মেল হক সোহাগ। ব্যারিস্টার জুনেদ তাঁর বক্তব্যে বলেন, “যদি আমরা আমাদের ক্রীড়া সংস্কৃতিকে সঠিকভাবে গড়ে তুলি, তাহলে তা কেবল খেলোয়াড়দের ব্যক্তিগত উন্নয়নে নয়, বরং দেশের সার্বিক অগ্রগতিতে বড় ভূমিকা রাখবে।”

সভায় সভাপতিত্ব করেন DSA সদস্য রহাত শামস। তিনি ক্রীড়া উন্নয়ন সংক্রান্ত একটি রোডম্যাপ উপস্থাপন করেন, যেখানে কৌশলগত পরিকল্পনা, ফান্ডিং, ব্র্যান্ডিং, কোচিং উন্নয়ন, প্রতিভা অন্বেষণ, অবকাঠামো আধুনিকীকরণ ও পারফরম্যান্স মনিটরিংয়ের উপর জোর দেওয়া হয়।ক্রীড়া সংগঠক মোকাম্মেল হক তার বক্তব্যে কিভাবে স্পোর্টসের সকল সেক্টর কে একসাথে নিয়ে কাজ করা যায় এবং সিলেট বিভাগের ক্রিকেট এবং বিসিবির মধ্য কিভাবে একটা ব্রিজ কানেকশন করা যায় যাতে বিসিবি তার নতুন ফর্মূলা বিসিবিকে ডিসেন্ট্রালাইজ করতে চাচ্ছে তার সর্বোচ্চ উপকারিতা পাওয়া যায় রি বিষয়ে জোর দেন।

কোচদের মতামত থেকে উঠে আসে কিছু গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ:

•ইনডোর স্টেডিয়ামের অভাব ও প্র্যাকটিস সেন্টারের অপ্রাপ্ততা,

•জেলা পর্যায়ে পর্যাপ্ত উইকেট না থাকা,

•বয়সভিত্তিক পর্যায়ে কোচের সংকট,

•সুনামগঞ্জ ও মৌলভীবাজারে কোচের অনুপস্থিতি,

•নারীদের ক্রিকেটের প্রতি পর্যাপ্ত মনোযোগের অভাব।

এছাড়াও কোচদের পক্ষ থেকে স্পন্সরের অভাব, ক্যাম্প পরিচালনায় অসুবিধা এবং গ্রাসরুট ট্রেনিং সুবিধার দাবি জানানো হয়। চূড়ান্ত সিদ্ধান্তগুলো হলো:

১. একটি কোচিং ওয়ার্কশপ আয়োজন করা হবে, যা বিভাগের পৃষ্ঠপোষকতায় সম্পন্ন হবে। ২. সকল সমস্যা সমন্বয় করে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে তা সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

এই সভার মধ্য দিয়ে সিলেট বিভাগের ক্রীড়াঙ্গনে একটি সুসংগঠিত ও পরিকল্পিত উন্নয়ন প্রক্রিয়ার সূচনা হলো বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন সংশ্লিষ্টরা।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *