ডায়াল সিলেট ডেস্ক:-
যেন কবিতার মতোই তাঁর প্রত্যাবর্তন, দূর ইংল্যান্ডের মেঘলা আকাশ পেরিয়ে সূর্যতপ্ত ঢাকায় নেমে এলো এক আশাবাদের বার্তা। চোখে দৃঢ়তা, মুখে মৃদু হাসি; বাংলাদেশের জার্সিতে নতুন ইতিহাস লেখার অঙ্গীকার নিয়েই দেশে ফিরেছেন ইংল্যান্ড প্রবাসী ফুটবলার হামজা চৌধুরী।
দুপুরে ঢাকায় পৌঁছে হোটেলে উঠেই যেন পুরো জাতিকে এক বাক্যে সাহস দিলেন তিনি; ‘নিরাপদে এসে পড়েছি। ইনশাল্লাহ আমরা সফলকাম হবো। ৯ তারিখে আমরা হংকংয়ের বিপক্ষে জাতীয় স্টেডিয়ামে খেলব। ইনশাল্লাহ, সবাই আমাদের সমর্থন দিবেন ‘
শব্দগুলোতে শুধু ফুটবল নয়, মিশে আছে আত্মবিশ্বাসের কবিতা। যেন মাঠের ঘাসে নয়, হৃদয়ের মাটিতেই তিনি বপন করছেন আশার বীজ।
আগামী বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের তৃতীয় রাউন্ডে হংকং চায়নার মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। ম্যাচের আগমুহূর্তে এই প্রত্যাবর্তন দলকে দিয়েছে নতুন উদ্দীপনা। বিকেলে অনুশীলনে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে লেস্টার সিটির এই ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডারের। হামজার মতো আরেক প্রবাসী ফুটবলার শোমিত সোমও মঙ্গলবার ক্যাম্পে যোগ দিচ্ছেন।
মাত্র কয়েক মাস আগেই শিলংয়ে ভারতের বিপক্ষে এশিয়ান কাপ বাছাই ম্যাচ দিয়ে লাল-সবুজ জার্সিতে অভিষেক হয়েছিল হামজার। ভুটানের বিপক্ষে গোল, সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে নির্ভরযোগ্য পারফরম্যান্স; সব মিলিয়ে তিনি এখন বাংলাদেশের ফুটবলে এক নতুন প্রতীক, এক নতুন সম্ভাবনা।
কিন্তু টেবিলে পরিস্থিতি এখনো স্বস্তিদায়ক নয়। ‘সি’ গ্রুপে সিঙ্গাপুর ও হংকংয়ের পয়েন্ট ৪ করে, আর বাংলাদেশ ও ভারতের ১। সেই প্রেক্ষাপটে ঢাকায় হংকংয়ের বিপক্ষে ম্যাচ যেন এক রণসংগীত, এক শেষ ভরসা।
সমর্থকদের চোখে এখন একটাই চাওয়া; হামজার চোখের ঝলক যেন মাঠে ফুটে ওঠে সাফল্যের রঙে।
তার পদক্ষেপে যেন ফুটে ওঠে নতুন আস্থা, নতুন দিগন্তের ইঙ্গিত। বাংলাদেশের ফুটবল আজ ঠিক যেমন এক দীর্ঘশ্বাসের ভেতর নতুন প্রভাতের প্রতীক্ষা করে।
তেমনই হয়তো হামজা চৌধুরীর আগমন এক কাব্যিক ঘোষণাই।